মন্দির পরিচালনা কমিটির সাধারণ সম্পাদক অনিমেষ সরকার যিশু জানান, ভোরে মন্দিরের সামনে দিয়ে প্রাইভেট পড়তে যাচ্ছিল মিরাজ নামের স্থানীয় এক স্কুলছাত্র। পথে মিরাজ মন্দিরের ভেতরে একজন ও বাইরে চারজনকে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখে। মিরাজ তাদের কাছে কারণ জিজ্ঞাসা করলে, ওই চারজন দৌড়ে পালিয়ে যায়।
ওই সময় যিশুর বাসায় গিয়ে মিরাজ বিষয়টি জানায়। এরপর যিশু ছেলেসহ মন্দিরে যান। তখন মন্দিরে আগুন জ্বলতে দেখা যায়। পরে স্থানীয় লোকজনের সহায়তায় অনিমেষ একজনকে ধাওয়া করে আটক করে।
অনিমেষ জানান, আগুনে মন্দিরের বেশ ক্ষতি হয়েছে। মন্দিরের শিবের প্রতিমার চুল, কাপড় পুড়ে গেছে। কালী প্রতিমার চূড়াও আগুনে ক্ষতিগ্রস্ত হয়। পুড়ে যায় মন্দিরের নিচের অংশের কাপড়।
খবর পেয়ে নেত্রকোনা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবু তাহের দেওয়ান ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। এ সময় তাঁর সঙ্গে প্রশাসনের অন্য কর্মকর্তারাও ছিলেন। পরিদর্শন শেষে পুলিশ আটক ব্যক্তিকে থানায় নিয়ে যায়। মন্দিরে আগুন দেওয়ার ঘটনায় এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে।