গলাচিপা(পটুয়াখালী)প্রতিনিধি: গলাচিপার বোয়ালীয়া গ্রামের মঞ্জু রানীকে ব্যাপক ভাবে মারধর করার ঘটনায় অরুন হাওলাদারের বিরুদ্ধে ইউনিয়ন পরিষদে অভিযোগ করেও দুই মাসেও বিচার না পেয়ে হতাশ হয়ে পড়েছেন। ইউ পি চেয়ারম্যান এ ঘটনায় তিন সদস্যের একটি তদন্ত টিম গঠন করে দিয়েছেন।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, উপজেলার বোয়ালীয়া গ্রামের মঞ্জু রানীর স্বামী অমল সরকার একই এলাকার কুঞ্জবিহারীর পুত্র অরুন হাওলাদারের কাছে দিন মঞ্জুরের (কাজের) টাকা পাবে। গত ৭জুন সুশান্ত মন্ডলের ঘরে বসে মঞ্জু রানী গ্রামীন ব্যাংকের সাপ্তাহিক কিস্থি দিতে গেলে তখন অরুন হাং কাছে কাজের পাওনা বাবদ ১৪৪ টাকা দাবী করে। অরুন হাং তাৎক্ষনিক ভাবে মঞ্জু রানীকে প্লাস্টিক চেয়ার দিয়ে এলোপাতারিভাবে পিটায় এবং এতে সে অসুস্থ্য হয়ে পড়ে। মারতে মারতে প্লাস্টিকের চেয়ার ভেঙ্গে ফেলে এবং গায়ের কাপড় চোপড় টেনে হেচড়ে ফেলে বলে অভিযোগে উল্লেখ করেন।
গলাচিপা সদর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মো: হাবিবুর রহমান হাদির কাছে অভিযোগ দিলে ৮ নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য শাহা পন্ডিতসহ তিন সদস্যর একটি টীম গঠন করে। দ্রুত সালিস করার নির্দেশ দেয়। অদ্য বধি দুই মাস পেড়িয়ে গেলেও আজ পর্যন্ত সালিশ হয়নি। বর্তমানে অরুন হাং তাকে ভয় ভীতি দেখায়। এমনকি অরুন হাং এর কর্মকান্ডে উত্তর বোয়ালীয়া গ্রামের মানুষ অতিষ্ট হয়ে উঠেছে। এ ব্যাপারে ইউপি সদস্য শাহা পন্ডিত জানান, ঘটনাটি সত্য। এ ভাবে এক জনার স্ত্রী অন্যায় ভাবে অন্য জনে মারধর করবে এটা ঠিক নয়। অভিযোগকারী শালিশদের কথা মানতেছে না তবে তার বিরুদ্ধে নারী নির্যাতন মামলা দিয়ে আইনের আওতায় আনা উচিত। ইউপি চেয়ারম্যান মো: হাবিবুর রহমান হাদি জানান, অভিযোগ পেয়েছি। সালিশদের কথা না শুনলে তাকে আইনের আওতায় আনা হবে।