শনিবার দুপুর আড়াই টা থেকে এই প্রতিযোগিতা শুরু হয় । অংশ নেয় ৩০টির অধিক নৌকা।প্রথমে অংশ নেয় নারী প্রতিযোগিরা। পরে ৩টার দিকে শুরু হয় পুরুষদের প্রতিযোগিতা। নড়াইল পুরাতন ফেরী ঘাট থেকে শুরু হয়ে জমিদার দের বাধা ঘাট হয়ে এস এম সুলতান বাড়ির পাশ দিয়ে ৫ কিঃ মিঃ দুরে মাছিমদিয়া এস এম সুলতান চিত্রা ব্রীজে গিয়ে শেষ হয় ।নারী-পুরুষ ও শিশু-বৃদ্ধের আগমনে এ নৌকা বাইচ যেন পরিণত হয় মিলন মেলায়। গ্রাম বাংলার ঐতিহ্যবাহী এ নৌকাবাইচ দেখতে চিত্রা নদীর দুই পাড়ে , বাড়ির ছাদে,গাছের ডালে বসে যে যেখান থেকে যে ভাবে পেরেছে সেভাবেই সবাই উপভোগ করেছে । এ আনন্দ উপভোগ করতে সবাই সারা বছর যেন অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করে ছিল।বরেণ্য চিত্র শিল্পী এস এম সুলতানের ৯১ তম জন্মোৎসব উপলক্ষে নড়াইল জেলা প্রশাসন ,এস,এম, সুলতান ফাউন্ডেশন এর আয়োজনে এবং প্রাণ আপের সহযোগিতায় বাংলাদেশ রোয়িং ফেডারেশনের ব্যবস্থাপনায় প্রতি বছরের ন্যায় এ বছরও নড়াইলের চিত্রা নদীতে পুরুষ ও মহিলাদের অংশগ্রহনে নৌকা বাইচ প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়।শিল্পী সুলতান তার চিত্রকর্মে গ্রামীন জীবন, জনপদ ও সংস্কৃতিকে তুলির আঁচড়ে ফুটিয়ে তুলেছেন।
প্রতিবছর তারই জন্মবার্ষিকীতে নৌকাবাইচ আয়োজনের মাধ্যমে শিল্পীর সেইস্বপ্ন বাস্তবায়নের প্রচেষ্টা সুলতান প্রেমী নড়াইলবাসীর।নড়াইলের জেলা প্রশাসক মোঃ হেলাল মাহমুদ শরীফ এর সভাপতিত্বে নৌকাবাইচ প্রতিযোগিতায় প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রী বীরেন সিকদার । বিশেষ অতিথি ছিলেন, নড়াইল জেলা পরিষদ প্রশাসক এ্যাডঃ সুবাস চন্দ্র বোস , পুলিশ সুপার সরদার রকিবুল ইসলাম, এসমএম সুলতান ফাউন্ডেশনের সম্পাদক আশিকুর রহমান মিকু, সুলতান উৎসবের আয়োজক ও এস এম সুলতান চারু ও কারুকলা ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান শেখ হানিফ, এস এম সুলতান শিশু চারু ও কারুকলা ফাউন্ডেশনের সদস্য সচিব বিমানেশ চন্দ্র বিশ্বাস , নড়াইল প্রেস ক্লাবের সভাপতি এনামুল কবীর টুকু, জাতীয় সমাজ তান্ত্রীক দল (জাসদ) এর জেলা সভাপতি এ্যাডভোকেট হেমায়েত উল্লাহ হিরু প্রমুখ প্রতিযোগিতা শেষে ১ম,২য় ও ৩য় স্থান অধিকারিদের মাঝে বিশেষ পুরষ্কার বিতরন করা হয় এবং সকল প্রতিযোগিদের সৌজন্য পুরষ্কার দেওয়া হয়। এর আগে ২৬ আগষ্ট (বুধবার) নড়াইলের ভিক্টোরিয়া কলেজের সুলতান মঞ্চে ৪দিন ব্যাপী এ মেলার উদ্ভোদন করেন জেলা প্রশাসক মোঃ হেলাল মাহমুদ শরীফ।
বাংলাদেশেরপত্র/ এডি/ আর