নড়াইল প্রতিনিধি : নড়াইল সদর হাসপাতালের নার্সের অবহেলায় এক বৃদ্ধা রোগীর রওশন আরা বেগম (৭০) মৃত্যুর অভিযোগ পাওয়া গেছে ও নড়াইল আমলী আদালতে মামলা করেছেন বৃদ্ধার ছেলে মাষ্টার মোঃ আঃ মতিন। বাদীর মামলার এজাহারে জানা যায়, ১২ ফেব্রুয়ারি দিবাগত রাতে গুরুতর অসুস্থ্য হয়ে পড়লে দ্রুত তাকে নড়াইল সদর হাসপাতালে ভর্তি করে। চিকিৎসাধীন থাকা অবস্থায় ১৩ ফেব্রুয়ারি আনুমানিক রাত ৮.৩০ মিনিটের সময় আরও গুরুতর অসুস্থ্য হয়। কর্তব্যরত ডাক্তার ও নার্সরা কোন চিকিৎসা সেবা না দেওয়ায় কর্তব্যরত ডাক্তার ও নার্সদের রওশন আরার জীবন বাঁচানোর জন্য খুব পীড়াপীড়ি করেন। কর্তব্যরত ডাক্তার ও নার্স আমার মাতাকে তাৎক্ষণিকভাবে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করেন। ওই সময় আমার মাতাকে অক্সিজেন ও সেলাইন দেওয়া ছিল। অ্যাম্বুলেন্সে অক্সিজেন দেওয়ার কথা বলায় নার্স হেনা পারভীন শারমিন তা অগ্রাহ্য করে। তখন ভারপ্রাপ্ত সি.এস ডাঃ আঃ কাদের (জসিম) এর নির্দেশে নার্স অক্সিজেন মুখ ও নাক থেকে খুলে দেয় এবং মুহুর্তের মধ্যে মাষ্টার মোঃ আঃ মতিনের মা রওশনারা তাৎক্ষণিক মৃত্যুবরণ করে। বাদী আরো উল্লেখ করেন, মাতার অক্সিজেন না খোলার জন্য মাষ্টার বারবার বলার পরেও র্কণপাত না করে বরং ১নং আসামি আঃ কাদের জসিমের হুকুমে আসামিরা মতিনের ভাই লিটুর শরীরে বিভিন্ন স্থানে লাথি, কিল, ঘুষি মারিয়া জখম করে এবং চিকিৎসার জন্য সাথে থাকা নগদ ১,১০,০০০/- ছিনিয়ে নেয় এবং আসামিরা আমার মাতার লাশ ট্রলিতে করিয়া বাইরে নিয়ে রাখে। উল্লেখিত ডাক্তার ও নার্সরা কর্তব্য অবহেলার জন্য এবং সঠিক চিকিৎসা না দেওয়ার জন্য ইচ্ছাকৃতভাবে আমার মাতা মুখের অক্সিজেন খুলে দেয়। অবহেলার কারণে আমার মাতার মৃত্যু হয়। ।পরে বিজ্ঞ আমলী আদালত নড়াইল সদর এ মামলা করা হয় । মামলার অভিযোগ নং- ৩২৩/৫০৬/৩০৪/৩৭৯/১০৯/১১৪ পেনাল কোড। অভিযুক্তদের সাথে এ নিয়ে কথা বলা হলে তারা ঘটনা অশ্বীকার করেন। নড়াইল সদর হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার আসাদুজ্জামান মুন্সি টনি মুঠোফোনে জানান, ঘটনার সময় তিনি কর্মস্থানে ছিলেন না । তবে সেবিকা সহ কেউ অবহেলার সাথে জড়িত থাকলে তার দৃষ্টান্ত মুলক বিচার হওয়া উচিত।