উজ্জ্বল রায়, নড়াইল: নড়াইলের চাঁদপুর গ্রামের নজির সর্দারের কিশোরী কন্যা অন্তরা খাতুনের (১৬) রহস্যজনক মৃত্যুর ঘটনার জট খুলতে শুরু করেছে। মৃত্যু রহস্য উদঘাটনে তার স্বামীর বন্ধু জনৈক জাকির হোসেন তপনকে গ্রেফতার করেছে কালিয়া থানা পুলিশ।
জানা যায়, গত বুধবার (২১ সেপ্টেম্বর) ভোরে মাগুরা জেলার মহম্মদপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এলাকা থেকে কালিয়া থানার উপ-পরিদর্শক(এসআই) আব্দুল করিম তাকে গ্রেফতার করে জেল হাজতে পাঠিয়েছেন। তাকে গ্রেফতারের পর অন্তরা খাতুনের মৃত্যুর রহস্য উদঘাটন হতে শুরু করেছে। অন্তরা কালিয়া উপজেলার কলাবাড়িয়া গ্রামের দুলাল শেখের ছেলে বদরুল শেখ এর স্ত্রী।
পুলিশ জানায়, ২০১৫ সালের ২৭ জুন অন্তরার স্বামী বদরুলের দু’বন্ধু মাগুরার মহম্মদপুর উপজেলার মৌলবী জোকা গ্রামের জাকির হোসেন ওরফে তপন ও একই গ্রামের পলাশ কালিয়ার উথলী গ্রামে অন্তরার মামা বিলাত শেখ’র বাড়ি যায়। আগে থেকেই অন্তরা স্বামীর ওই বন্ধুদের সঙ্গে পরিচিত ছিল। ওই সময় অন্তরা ছাড়া বাড়িতে কেউ ছিল না। সুযোগ বুঝে ঘটনার দিন আনুমানিক বেলা ৩ টার সময় পূর্বশত্রু তার জের ধরে অন্তরাকে গলা টিপে হত্যা করে ওড়না দ্বারা মামার বসত ঘরের কাঠের আড়ার সঙ্গে ঝুলিয়ে আত্মহত্যা বলে চালিয়ে দেয়। এরপর তারা পালিয়ে যায়। ঘটনার পর থেকে তার মৃত্যু নিয়ে এলাকায় গুঞ্জণ চলছিল। হত্যা না আত্মহত্যা? বিষয়টি নিয়ে সন্দেহ ঘনিভূত হওয়ায় ঘটনার প্রায় তিন মাস পর গত ২০১৫ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর কালিয়া থানার উপ-পরিদর্শক প্রদীপ কুমার সানা বাদী হয়ে অপমৃত্যু মামলা দায়ের করেন।
এ মামলার তদন্ত প্রতিবেদন, ভিসেরা প্রতিবেদনসহ সার্বিক বিষয়ে প্রাথমিকভাবে অন্তরার মৃত্যু অস্বাভাবিক প্রমাণিত হওয়ায় তদন্তকারী কর্মকর্তা আব্দুল করিম বুধবার জাকির হোসেন ওরফে তপনকে আটক করেছে।
এ প্রসঙ্গে কালিয়া থানার উপ-পরিদর্শক আব্দুল করিম বলেন, ‘তথ্য প্রমাণের ভিত্তিতে প্রাথমিকভাবে প্রমাণিত হয় জাকির হোসেন ওরফে তপন ও পলাশ ঘটনার সঙ্গে জড়িত বিধায় গোপন সংবাদের ভিত্তিতে বুধবার আসামী তপনকে গ্রেফতার থানায় এনে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে হয়েছে।