উজ্জ্বল রায়, নড়াইল: নড়াইলে প্রতিমার সংখ্যার দিক থেকে দেশের সর্ববৃহৎ মণ্ডপ নির্মাণ হচ্ছে প্রতিমা দিয়ে সাজানো হচ্ছে। সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় উৎসব শারদীয় দুর্গোৎসব। এই উৎসবকে সামনে রেখে প্রতিমার শৈল্পিক রূপ দেওয়ার জন্য ব্যস্ত সময় পার করছেন ও প্রতিমা শিল্পীরা। প্রতিমার ভাস্কর কারিগর গত মাস ধরে ওই প্রতিমা নিপূণ হাতে তৈরি করছেন।
জানা যায়, দেশের বিভিন্ন এলাকার হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের আকৃষ্ট করতে আয়োজকরা ওই ব্যতিক্রমধর্মী নানা দেবদেবীর প্রতিমা তৈরি করেছেন। শিল্পীদের নিপুণ হাতে ইতোমধ্যে মাটির কাজ শেষ করে এখন চলছে রঙতুলির কাজ। এর আগে বাঁশ ও খড়কুটোর ওপর দেওয়া হয়েছে মাটির প্রলেপ। এরপর শিল্পীর আঁচড়ে গড়ে তোলা হচ্ছে দশভূজা দেবী দুর্গাসহ বিভিন্ন দেবদেবীর প্রতিমূর্তি।
আগামী মাসের প্রথম সপ্তাহে (৬ অক্টোবর) শুরু হচ্ছে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় উৎসব দুর্গাপূজা। এই উৎসবকে ঘিরে ও জেলার বিভিন্ন এলাকায় চলছে প্রতিমা নির্মাণের কাজ। বাড়িতে সর্ববৃহত্তম পূজা মণ্ডপের কারিগর বলেন, প্রতিমা নির্মাণের কাজ শেষ হয়েছে। আর মাত্র কয়েকদিন পরেই শারদীয় দুর্গোৎসব শুরু হবে। সেই বিষয়টি মাথায় রেখে রাতদিন ২৪ ঘণ্টা রঙতুলির কাজ চলছে। আমরা এবার ধর্মাবলম্বীদের দৃষ্টি আকর্ষণের জন্য কাজ চালিয়ে যাচ্ছি। আমি এবার এত প্রতিমা তৈরি করতে পেরে নিজেকে ধন্য মনে করছি।’
এই মণ্ডপ তৈরির আয়োজক বিশিষ্ট ব্যবসায়ী বলেন, ‘কয়েক বছর ধরে হিন্দু ধর্মা বলম্বীদের ও দর্শনার্থীদের মন জয় করতে প্রতিমার সংখ্যা বৃদ্ধি করা হচ্ছে। গত বছর প্রতিমা নিয়ে শারদীয় দুর্গোৎসব পালন করা হয়। সেই সময়ের প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী এবার প্রতিমা নিয়ে এতবড় আয়োজন।
আমার জানা মতে দেশ নয়, এটি প্রতিমার সংখ্যার দিয়ে পৃথিবীর সব থেকে বড় পূজা মণ্ডপ। নড়াইল জেলার পুলিশ সুপার সরদার রকিবুল ইসলাম জানান, প্রতিমা নির্মাণকে ঘিরে বাড়ানো হয়েছে নিরাপত্তা ব্যবস্থা। এবার জেলার ৫৫৬ টি মণ্ডপে প্রতিমা তৈরির কাজ দ্রুত এগিয়ে চলছে। সেখানে পুলিশের পাশাপাশি জনপ্রতিনিধিরা সহায়তা করছে। এদিকে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের মতে এ বছর মা আসছেন ঘোড়ায় চড়ে, আর যাবেনও ঘোড়ায় চড়ে। আয়োজকদের প্রত্যাশা, এবার দেশ বিদেশের লাখো দর্শনার্থী ও ভক্তবৃন্দের বড় এই পূজা মণ্ডপে আগমন ঘটবে।