মাদ্রাসার শিক্ষক ও ছাত্ররা জানান, বুধবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে শাপলা এবং পুঁইশাকের দুই প্রকার তরকারি খেয়ে ছাত্ররা অসুস্থ হয়ে পড়েন। অসুস্থদের ছাত্রদের প্রথমে নড়াইল সদর হাসপাতালে আনা হয়। অবস্থার অবনতি হলে উন্নত চিকিৎসার জন্য সবাইকে যশোর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। এর আগে এক ছাত্রকে নড়াইল সদর হাসপাতালে আনা হলে কর্তব্যরত ডাক্তার তাকে মৃত্যু ঘোষণা করেন। বাকি দু’জন পথিমধ্যে মারা যান। মৃত্যু ছাত্ররা হলেন-নড়াইলের বড়গাতি গ্রামের জব্বার হোসেনের ছেলে এমামুল হক (১৮), ভদ্রবিলা-পাঁচুড়িয়ার মুরাদ মিয়ার ছেলে আলিফ (৮) এবং শুভারগোপের আফসার শেখের ছেলে আশরাফুল।
মাদ্রাসার শিক্ষক ইব্রাহিম বলেন, ৩০ জন ছাত্র এবং কয়েকজন শিক্ষক মিলে আমরা একসঙ্গে রাতের খাবার খাই। খাবার খাওয়া শেষে ছাত্ররা বমি করা শুরু করেন। পরে তিনজনের মৃত্যু হয়। গুরুতর অসুস্থ ১২জনকে যশোরে পাঠানো হয়েছে। নড়াইল সদর হাসপাতালের চিকিৎসক অনিক সাহা বলেন, প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে খাবারের বিষক্রিয়ায় তিন ছাত্রের মৃত্যু হয়েছে। অসুস্থ ছাত্রদের উন্নত চিকিৎসার জন্য যশোরে পাঠানো হয়েছে।