জনকন্ঠ ও চ্যানেল আই’র সাংবাদিক মুকুলকে বেধরক পিটিয়েছে বিজিবি
পঞ্চগড় প্রেসক্লাবের সভাপতি, জনকন্ঠের স্টাফ রিপোর্টার ও চ্যানেল আই’র জেলা প্রতিনিধি এ রহমান মুকুলকে বেধরক পিটিয়ে বিজিবি সদস্যরা। শনিবার দুপুরে সদর উপজেলার হাড়িভাসা ইউনিয়নের ঘাগড়া সীমান্তে খবর সংগ্রহ করতে বিজিবি ঘাগড়া ক্যাম্পের সদস্যরা তাকে গাছে বেধে বেধরক পেটায়। পরে স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের সহায়তায় সাংবাদিকরা তাকে উদ্ধার পঞ্চগড় আধুনিক সদর হাসপাতালে ভর্তি করে। এ ঘটনায় ১৮ বিজিবি অধিনায়ক দু:খ প্রকাশ করেছেন। খবর পেয়ে পঞ্চগড়-১ আসনের সংসদ সদস্য নাজমুল হক প্রধান, জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ সালাহ উদ্দিন, সদর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আনোয়ার সাদাত স¤্রাটসহ জনপ্রতিনিধিরা হাসপাতালে যান। তদন্ত সাপেক্ষে দোষীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহনের আহবান জানান জনপ্রতিনিধিরা।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, শনিবার ভোররাতে ওই সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে এক গরু চোরাকারবারি নিহত হয়। এই খবর সংগ্রহ করতে গেলে তথ্য দিতে অস্বীকার করে বিজিবি। এসময় বিজিবি সদস্যরা কাচু মোহাম্মদ নামে এক নিরিহ কৃষককে বেদম মারপিট করতে থাকে। প্রকাশ্যে তাকে মারপিটের কারন জানতে চাইলে। উত্তেজিত হয়ে উঠেন বিজিবির ঘাগড়া কম্পানি কমান্ডার মো. জসিম উদ্দিন। এক পর্যায়ে তিনিসহ ঘাগড়া ক্যাম্পের ৫/৬ বিজিবি সদস্য সাংবাদিক মুকুলকে লাঠি এবং বাঁশ দিয়ে পেটাতে থাকে। এক পর্যায়ে তাকে গাছের সাথে বেধে রাইফেলের বাট দিয়ে বেধরক পেটায়। সাংবাদিক পরিচয় দিলে তারা আরও বেশি রেগে যান। এ সময় সময় টিভির প্রতিনিধি আব্দুর রহিমসহ অন্য সাংবাদিকদের ধাওয়া করে বিজিবি। তারা সাংবাদিকদের উদ্যেশ্য করে অশ্লীল ভাষায় গালাগালিও করেন। খবর পেয়ে ১৮ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লে. কর্নেল মোহাম্মদ আরিফুল হক ঘটনাস্থলে যান। পরে পঞ্চগড় প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক সফিকুল আলম, সাংবাদিক নেতৃবৃন্দসহ স্থানীয় সাংবাদিকরা গুরুতর আহতবস্থায় মুকুলকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করেন। বিজিবির ঘাগড়া কম্পানি কমান্ডার মো. জসিম উদ্দিন বলেন, সাংবাদিক পরিচয় না দিয়ে তিনি বিজিবিকে ঘুষখোর বলে গালি দেন। এ জন্য সৈনিকরা উত্তেজিত হয়ে উঠেন।
সাংবাদিক এ রহমান মুকুল বলেন, বিজিবি সদস্যরা একজন নিরিহ কৃষককে বেধরক মারপিট করছিল। আমি কারণ জানতে চাইলে কম্পানি কমান্ডার উত্তেজিত হয়ে উঠেন। এক পর্যায়ে তারা আমাকে গাছে বেধে লাঠি দিয়ে বেধরক মারপিট করেন। এ ঘটনায় দু;খ প্রকাশ করে পঞ্চগড় ১৮ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লে. কর্নেল মোহাম্মদ আরিফুল হক বলেন, খবর শোনার সাথে সাথেই আমি ঘটনাস্থলে আসি। তিনি সাংবাদিক পরিচয় দিলে হয়তো অনাকাঙ্খিত এই ঘটনা ঘটত না।