সিলেটের বিয়ানীবাজারে সিএনজিচালিত অটোরিকশার একটি স্ট্যান্ডের দখল নিয়ে দুই দল শ্রমিকের সংঘর্ষের মধ্যে পড়ে গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত হয়েছেন এক যুবক। প্রত্যক্ষদর্শীদের বরাত দিয়ে বিয়ানীবাজার থানার ওসি জুবের আহমদ জানান, গত শুক্রবার রাত ১১টার দিকে উপজেলা সদরের দক্ষিণ বাজারে ওই সংঘর্ষে আরো সাতজন গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। নিহত নিজু আহমদ (১৭) উপজেলার কসবা গ্রামের সুবল মিয়ার ছেলে। তিনি মাংস বিক্রি করতেন বলে ওসি জুবের জানিয়েছেন।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, সাবেক ছাত্রলীগ নেতা জামাল হোসেনের বড় ভাই শামীম আহমদের নেতৃত্বে ওই অটোরিকশা স্ট্যান্ড নিয়ন্ত্রিত হত। সম্প্রতি তিনি মারা গেছেন। এরপর থেকে স্ট্যান্ডের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে শ্রমিকদের দুই পক্ষের মধ্যে দ্বন্দ্ব চলছিল। এর জের ধরেই রাতে উভয়পক্ষ সংঘর্ষে জড়ায়। সংঘর্ষ চলাকালে দুই পক্ষই আগ্নেয়াস্ত্র ব্যবহার করে। গুলিবিদ্ধ অবস্থায় নিজুকে হাসপাতালে নেয়ার পথে তার মৃত্যু হয়। গুলিবিদ্ধ অন্যরা হলেন- উপজেলা ট্রাক শ্রমিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক সুয়াইবুল রহমান (৪০), শ্রমিক নেতা বিমল চন্দ্র (৩২), রিপন (২৯), তারেক (২৪), নূরুল হক (৫০) ও ফয়ছাল আহমদ (৩৫) আবুল কালাম (৪০)। তাদের সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন শ্রমিক নেতা জানান, উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক আহ্বায়ক জামাল হোসেন ওই স্ট্যান্ডের দখল নেয়ার চেষ্টা করছেন। তার নেতৃত্বেই ছাত্রলীগের কর্মীরা গুলি ছুড়েছে। তবে অভিযোগ অস্বীকার করে জামাল বলেন, দ্বন্দ্ব নিরসনে মধ্যস্থতা করতে তিনি সেখানে গিয়েছিলেন। তার কর্মীরা সংঘর্ষে জড়ায়নি। সংঘর্ষে জড়িতদের ধরতে পুলিশ অভিযান শুরু করেছে বলে ওসি জুবের আহমদ জানিয়েছেন।