রাণীশংকৈল (ঠাকুরগাঁও) প্রতিনিধি:
ঠাকুরগাঁওয়ের হরিপুরে এইচএসসি পরীক্ষায় ফেল করার লজ্জা ঢাকতে আরফিন আক্তার (১৮) নামে এক শিক্ষার্থী গলায় উড়না পেঁচিয়ে বাঁশের সঙ্গে ঝুলে আত্মহত্যা করেছে। গতকাল বুধবার বিকালে উপজেলার গেদুরা ইউনিয়নের আটঘরিয়া গ্রামে নিজ বাড়িতে আত্মহত্যার এ ঘটনা ঘটে।
নিহত আরফিন আক্তার উপজেলার গেদুরা ইউনিয়নের আটঘরিয়া গ্রামের কৃষক জবেদ আলীর মেয়ে। ৫ বোন এক ভাইয়ের মধ্যে সে চতুর্থ। এবারের এইচএসসি পরীক্ষায় সে রাণীশংকৈল উপজেলার ডিকে ধর্মগড় (কাশিপুর) মহাবিদ্যালয় থেকে মানবিক বিভাগে অংশ নেয়। এতে ইংরেজি বিষয়ে কম নাম্বার পেয়ে অকৃতকার্য হন।
পুলিশ ও স্বজনদের সূত্রে জানা গেছে, নিহত ওই শিক্ষার্থী পরীক্ষায় অকৃতকার্য হওয়ার পর থেকে ভীষণ কান্নাকাটি করতে দেখে প্রতিবেশী ও স্বজনরা সান্ত্বনা দেন। পরীক্ষায় ফেল করার লজ্জা আর নিজের ওপর অভিমান করে গতকাল বুধবার বিকেলে সবার অজান্তে মেয়েটি নিজ শয়ন কক্ষের বাঁশের সঙ্গে রশি দিয়ে আত্মহত্যা করে।
গেদুড়া ইউনিয়নের ৩ নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মুঞ্জুর হক বলেন, ‘মেয়েটির মা বাড়িতে নামাজ পড়ছিল। তার বাবা বাসায় ছিল না। সে রেজাল্ট শোনার পর বাসায় এসে গলায় উড়না দিয়ে বাশের সাথে ফাঁস দেয়। পরে তার ছোট বোন গোসল করে রুমে গিয়ে দেখে সে ছটফট করে। তাকে নামানোর পর সে মারা যায়। পরে স্থানীয়রা হরিপুর থানা পুলিশকে খবর দেন। খবর পেয়ে হরিপুর থানার তদন্ত ওসি মো আনারুল ইসলাম ঘটনাস্থলে এসে মরদেহ উদ্ধার করে সুরতহাল প্রতিবেদন প্রস্তুত করে। তিনি জানান এবিষয়ে পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।’
হরিপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তাজুল ইসলাম আত্মহত্যার বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, পরীক্ষায় ফেল করা নিয়ে পরিবারের মধ্যে কথাবার্তা হওয়ার একপর্যায়ে বেলী অভিমান করে আত্মহত্যা করে।