পাঁচবিবিতে ২টি মুক্তিযোদ্ধা পরিবারে সন্ত্রাসী হামলা ৩ ভাইসহ ৫জন আহত

পাঁচবিবি, জয়পুরহাট :  পাঁচবিবিতে ২টি মুক্তিযোদ্ধা পরিবারে সন্ত্রাসী হামলায় ৩ভাইসহ দুই পরিবারের ৫জন আহত হয়েছে। পাঁচবিবি উপজেলার উচনা গ্রামের বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুস সালাম মোল্লা টুকু জানান,গত ২৫ জুন শুক্রবার বিকালে পাঁচবিবি উপজেলার উচনা গ্রামের তার ৩য় পুত্র জহির উদ্দিন মোল্লা জসিম (৩৫)তাদের পাওনা ১লক্ষ টাকা চাইতে হাটখোলা বাজারস্থ আঃ লতিফের পান দোকানের পিছনে অবস্থানরত বিবাদি শ্রীমন্তপুর গ্রামের মঞ্জুরুল ইসলাম (৩০)এর কাছে গেলে বলে,কিসের টাকা।তোরা কোন টাকা পাবিনা।ভাগ শালা এখান থেকে।একথায় উভয়ের মধ্যে বাক-বিতন্ডা সৃষ্টি হয়।

এক পর্যায়ে মঞ্জুরুল ইসলাম,জয়নাল আবেদিন,বাবলু মিয়া,কাবলি,আব্দুল কাদের ও মমতাজ উদ্দিন দেশীয় অস্ত্রে সজ্জিত হয়ে জহির উদ্দিন মোল্লা জসিমের উপর অতর্কিত হামলা চালায়।এ হামলায় চাপাতির আঘাতে জহির উদ্দিন মোল্লা জসিমের সারাশরীর জখম সহ ডান হাতের ২টি আঙ্গুল কেটে পড়ে যায়।তাকে বাঁচাতে মুক্তিযোদ্ধার বড়পুত্র লাভলু (৪০) ও মেঝো পুত্র গোলাম হোসেন(৩৬)এগিয়ে গেলে তাদেরকও কুপিয়ে গুরুতর জখম করে জসিমের পকেটে থাকা গরু ব্যবসার নগদ ২০ হাজার টাকা ছিনিয়ে নিয়ে চম্পট দেয়।এদিকে আহত ৩ সহদর ভাইকে তাৎক্ষনিকভাবে উদ্ধার করে উপজেলার মহিপুর সরকারী হাসপাতালে ভর্তি করেছে তার অসহায় মুক্তিযোদ্ধা পিতা।এব্যাপারে বিচার চেয়ে পাঁচবিবি থানায় একটি লিখিত এজাহার দাখিল করেছেন মুক্তিযোদ্ধা আব্দুস সালাম মোল্লা টুকু।অপরদিকে গত রবিবার বেলা ১১টার দিকে উপজেলার পশ্চিম রামচন্দ্রপুর গ্রামের আরো একটি মুক্তিযোদ্ধা পরিবারে সংঘর্ষের খবর পাওয়া গেছে।

অভিযোগে জানা গেছে,ঐ গ্রামের মরহুম মুক্তিযোদ্ধা মমির উদ্দিনের বড়পুত্র মজনু(৬৫)ও ছোট ভাই ওসমান আলী,নুকুর মধ্যে একটি বাড়ী কেনাবেচাকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষ বাঁধে।এতে দায়ের কোপে মজনু মিয়ার ঘাড়ে-পিঠে গুরুতর জখম হয়।তাকে বাঁচাতে ¯ী¿ মোছাঃ মিষ্টি বেগম(৪০)এগিয়ে গেলে তাকেও পিটিয়ে গুরুতর আহত করে।আহতদের তাৎক্ষনিকভাবে উদ্ধার করে উপজেলা মহিপুর সরকারী হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।এব্যাপারে বাগজানা ইউপি চেয়ারম্যান জামাত আলীকে জিজ্ঞাসা করলে তিনি বলেন,আমার পরিষদে মরহুম মুক্তিযোদ্ধা মমির উদ্দিনের পরিবারের জায়গা-জমি সংক্রান্ত মাপযোগের একটি লিখিত অভিযোগ ছিলো।আমি বহুবার তাদের সমস্যার সমাধান করে দিয়েছি।তবুও তাদের গন্ডগোল হয়।তাই আর যাইনা।আইনের আশ্রয় নিতে বলেছি।

Comments (0)
Add Comment