পাবনায় জঙ্গি বিরোধী কমিটি গঠন

বক্তব্য রাখছেন হেযবুত তওহীদের পাবনা জেলা আমির মো. শামসুজ্জামান মিলন; মঞ্চে উপবিষ্ট অতিথিবৃন্দ।

মাহতাব উদ্দীন, পাবনা: পাবনা পৌরসভার ৭নং ওর্য়াড অর্ন্তগত সেন্ট্রাল গার্লস হাই স্কুল হল রুমে গতকাল শুক্রবার রাত ৮ টায় জঙ্গি বিরোধী আলোচনা সভা ও কমিটি গঠন করা হয়। ৭ নং ওর্য়াড আ.লীগের সভাপতি সমীল সাহা ভানু’র সভাপতিত্বে সভায় প্রধান আতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পাবনা পৌর আ.লীগের সভাপতি এ্যাড. তসলিম হাসান সুমন।
বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পৌর আ.লীগের সাধারন সম্পাদক শাহজাহান মামুন, পাবনা জেলা ছাত্রলীগের সাধারন সম্পাদক শিবলী সাদিক, পৌর আ.লীগের সহ-সভাপতি হাবিবুর রহমান। মূখ্য আলোচকের বক্তব্য প্রদান করেন হেযবুত তওহীদের পাবনা জেলা আমির শামসুজ্জামান মিলন।
এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী অঙ্গ সংগঠনের দেড় শতাধিক নেতা কর্মীবৃন্দ।
সভায় প্রধান অতিথি তার বক্তব্য বলেন, ”যারা জঙ্গিবাদী কর্মকান্ডে নিজেদের নিয়োজিত করছে তারা আদর্শিক সংকটে ভূগছে, তাদেরকে অলীক কিছু শিক্ষা দেওয়া হয়। এজন্য তাদের সঠিক আদর্শ দ্বারা অনুপ্রানিত কোরতে হবে।”
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে শাহজাহান মামুন বলেন, ”জঙ্গিবাদী একটি দেশীয় ও আর্ন্তজাতিক চক্রান্ত। এই চক্রান্ত আমরা ঐক্যবদ্ধ ভাবে রূখে দেব। কোন অপশক্তি যেন আমাদের দেশের উন্নয়নকে বাধাগ্রস্থ কোরতে না পারে এজন্য আমরা জাতীয় ঐক্য গড়ে তুলবো।”
অনুষ্ঠানের মূখ্য আলোচক হেযবুত তওহীদের পাবনা জেলা আমির শামসুজ্জামান মিলন তার বক্তব্যে জঙ্গিবাদের উৎপত্তি কি ভাবে হল এবং এর স্বরূপ তিনি তুলে ধরেন। তিনি বলেন, ”ধর্ম আর অধর্মের সীমারেখা দিতে হবে। গুলশান, শোলাকিয়ার ঘটনার পর থেকে অনেক রাজনৈতিক, সামাজিক, সাংস্কৃতিক সংগঠন জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে গণসচেতনতা সৃষ্টির লক্ষ্যে নানা পদক্ষেপ গ্রহণ করছে। কিন্তু হেযবুত তওহীদ ২০০৯ সন থেকে জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে নানা কার্যক্রম চালিয়ে আসছে। আর বিগত চার বছরে দেশের সর্বত্র সন্ত্রাস-জঙ্গিবাদ, অপরাজনীতি ও ধর্মব্যবসার বিরুদ্ধে ৪০ হাজারের উপরে পথসভা, জনসভা, সেমিনার করে, বই, পত্রিকা, হ্যান্ডবিল বিতরণ ইত্যাদি কার্যক্রম চালিয়েছে। হেযবুত তওহীদ বহুদিন থেকে বলে আসছে জঙ্গিবাদ নির্মূলের সঠিক আদর্শটি তাদের কাছে আছে, সেই আদর্শ মানুষের মাঝে ছড়িয়ে দিতে পারলে আর কেউ যেমন জঙ্গিতে পরিণত হবে না তেমনই অনেক জঙ্গিও তাদের ভুল বুঝে এই ভ্রান্ত পথ ত্যাগ করবে।”
অনুষ্ঠান শেষে জামাল উদ্দীন শেখ’কে সভাপতি এবং এম এ ছালাম’কে সাধারন সম্পাদক করে ৩১ সদস্য বিশিষ্ট জঙ্গি বিরোধী কমিটি গঠন করা হয়।

Comments (0)
Add Comment