পাবনার সাঁথিয়ায় ফিরোজ হত্যা মামলার অন্যতম আসামী হযরত (২৮) কে একটি বিদেশী পিস্তল,৪ রাউন্ডগুলি ও ৩টি দেশীয় অস্ত্রসহ গতকাল মঙ্গলবার রাতে গ্রেফতার করেছে সাঁথিয়া থানা পুলিশ। সে উপজেলার জোড়গাছা গ্রামের আফছার আলীর ছেলে। জানা যায়, গত ২৪ এপ্রিল রাতে সাঁথিয়া থানার রাঙ্গামাটিয়া গ্রামের আব্দুল হান্নানের ছেলে ফিরোজকে সন্ত্রসীরা গলা কেটে কুপিয়ে নির্মমভাবে হত্যা করে।এ ঘটনায় ফিরোজের বাবা বাদী হয়ে সাঁথিয়া থানায় একটি মামলা দায়ের করে। এই মামলার আসামীদের গ্রেফতারে পুলিশ মরিয়া হয়ে ওঠে।
পুলিশ জানায়, মঙ্গলবার বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে থানার এসআই আব্দুল গাফ্ফার ও এসআই ইউনুছ সংগীয় ফোর্সসহ উপজেলা জোড়গাছা গ্রামের আফছারের ছেলে হযরত (২৮) কে জোড়গাছা বাজার হইতে ফিরোজ হত্যার সাথে জড়িত সন্দেহে আটক করে থানায় নিয়ে আসে। অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (বেড়া সার্কেল) আশিস বিন হাসান ও পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) আব্দুল মজিদ আটককৃত হযরতকে ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদে ফিরোজ হত্যার সাথে জড়িত থাকা এবং হত্যায় ব্যবহৃত তার হেফাজতে রাখা অস্ত্রের কথা স্বীকার করেছে বলে জানিয়েছেন। হযরতের স্বীকারোক্তি অনুযায়ী, গতকাল মঙ্গলবার রাত ৮টার দিকে তার বসতঘরের পাশের ডোবা থেকে প্লাস্টিকের বস্তায় মোড়ানো অবস্থায় একটি বিদেশী পিস্তল, ৪ রাউন্ড গুলি, ১টি চাইনিজ কুড়াল, ১টি দা ও ১টি হাসুয়া উদ্ধার করা হয়। পরে তার বসত ঘরের খুটির সাথে বিশেষ কায়দায় সংরক্ষণ করা হযরতের সহযোগীদের সাথে কথোপকনের মোবাইল সিম ও মেমোরিকার্ড উদ্ধার করে। এসময় নন্দনপুর ইউপি চেয়ারম্যান, সাংবাদিক ও এলাকার গণ্যমান্য ব্যাক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন। উল্লেখ্য, গত ২৫ এপ্রিল উপজেলার নন্দনপুর ইউনিয়নের ছোন্দহ মাঠের শাহিনের মৎস্য খামারের পাকা রাস্তার উপর রাঙামাটি গ্রামের হান্নানের ছেলে ফিরোজকে কুপিয়ে গলা কেটে হত্যা করে সন্ত্রাসীরা।