রনজিত কুমার মিস্ত্রী, পিরোজপুরঃ
পিরোজপুর জেলার নাজিরপুর উপজেলাধীন ৩নং দেউলবাড়ী দোবড়া ইউনিয়নের অর্ন্তগত গাঁওখালী স্কুল এ্যান্ড কলেজ এর কলেজ শাখার শিক্ষক ও কর্মচারীদের চরম দুর্ভোগ। প্রায় ১১ বছর ধরে অত্র কলেজ শাখার শিক্ষক ও কর্মচারীগন অক্লান্ত পরিশ্রম করে প্রতিষ্ঠানটিকে অত্র এলাকার মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষার একমাত্র ধারক ও বাহক হিসেবে ঐতিহ্য বজায় রেখে আসিতেছেন। এমপিও ভুক্তির লক্ষ্যে অনেক চেষ্টা চরিত্র করার পরেও বিগত সরকার থেকে বর্তমান সরকার পর্যন্ত এই প্রতিষ্ঠানটিকে ভুলেও এমপিও ভুক্ত করেননি ফলশ্রুতিতে শিক্ষক ও কর্মচারীদের জীবনে চরম হতাশা আর দীর্ঘশ্বাস ছাড়া আর কিছুই মেলেনি। এই স্কুল এ্যান্ড কলেজটি ১৯৭২ সালে স্থানীয় ব্যাক্তি বর্গ দ্বারা ২ একর ৫০ শতাংশ জমির উপর মাধ্যমিক স্কুল হিসেবে প্রতিষ্ঠা লাভ করেন এবং ২০০৫ সালে কলেজ হিসেবে যাত্রা শুরু করে। পরিবেশের দিক দিয়ে অত্র প্রতিষ্ঠানটি অত্যান্ত সুন্দর ও মনোমুগ্ধকর। এখানে শিক্ষার্থীরা সফলভাবে মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা অর্জন করে।
অত্র প্রতিষ্ঠানটির কলেজ শাখার শিক্ষক সংখ্যা ১৪, শিক্ষিকা ০৫, তৃতীয় শ্রেণির কর্মচারী ০৩ এবং চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারি ০২ সহ মোট ২৪ জন কর্মরত আছেন। প্রত্যেক শিক্ষক কর্মচারি তাদের আত্ম কর্মসংস্থানের জন্য নিজের যথা সর্বস্ব সম্বল দিয়ে ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় প্রতিষ্ঠানটি গড়ে তুলেছেন। প্রতিষ্ঠানটি ২০০৭ সালে সর্ব প্রথম উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষায় অংশ গ্রহন করে। যদিও প্রথমবার তারপরও ফলাফল ছিল ১০০%। পরবর্তী ২০০৮-২০১৩ সাল পর্যন্ত উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষার পাশের হার ছিল ৯৫% এবং ২০১৪ সালে পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ২০৪ জন এর মধ্যে ১৯১ জন উত্তীর্ণ হয়। তার মধ্যে এ+ ১৪টি, এ ১০০ টি ও এÑ ৪৬টি, পাসের হার ৯৩.৫% এছাড়াও এখানে দুটি পাবলিক পরীক্ষা জেএসসি ও এসএসসি কেন্দ্র রহিয়াছে।
এই প্রতিষ্ঠানের শিক্ষকবৃন্দ অত্যন্ত পরিশ্রমী, বিনয়ী ও বিচক্ষন। তারা তাদের মেধা শক্তি সুপ্রয়োগের ফলে শিক্ষার্থীদের যথাযথ পাঠদান করিয়া আসিতেছেন এর মধ্যে প্রতিষ্ঠানটি বহুবার এমপি ভুক্ত করার চেষ্টা করা হইয়াছে কিন্তু তাতে কোন ফল হয়নি বিধায় সকল শিক্ষক ও কর্মচারীবৃন্দ মানবেতর জীবন যাপন করিতেছেন। তার মধ্যে কেউ কেউ কোচিং, টিউশনি, আবার কেউ কেউ মাঠে কাজ করে জীবন জীবিকা নির্বাহ করেন। অত্র প্রতিষ্ঠানের অধ্যক্ষ মোঃ জাফর বাহাদুর বলেন দীর্ঘ ১১ বছর ধরে আমরা শিক্ষার্থীদের শিক্ষা প্রদান করে আসছি কিন্তু সরকার ভুল করেও প্রতিষ্ঠানটি এমপিও ভুক্ত করেননি। এ ব্যপারে স্থানীয় সংসদ সদস্য সহ উচ্চ পর্যায়ে লিখিত ও মৌখিক ভাবে বহুবার আবেদন করেছি। আমি আবারও স্থানীয় সংসদ সদস্য সহ শিক্ষামন্ত্রী ও মাননীয় প্রধান মন্ত্রীর নিকট বিণীতভাবে প্রতিষ্ঠানটি এমপিও ভুক্তি করার দৃষ্টি আকর্ষন করছি।