যুক্তরাষ্ট্রের বিচার বিভাগের এক প্রতিবেদনে ফারগুসনে পুলিশের বিরুদ্ধে বর্ণবাদী আচরণের প্রমাণ মেলার কথা উঠে আসার পর শহরটির পুলিশ প্রধান থমাস জ্যাকসন পদত্যাগ করেছেন। কয়েক মাস আগে এক শ্বেতাঙ্গ পুলিশ কর্মকর্তার গুলিতে এক কৃষ্ণাঙ্গ কিশোর নিহতের ঘটনায় পদত্যাগের দাবি উঠেছিল জ্যাকসনের। ওই হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদে যুক্তরাষ্ট্রের বেশ কয়েকটি শহরে কয়েক সপ্তাহের বিক্ষোভের পর ফারগুসনে এই তদন্ত শুরু হয়। মিজৌরি স্টেটের এই শহরের পুলিশ বিভাগ ও পৌর আদালতে ব্যাপক মাত্রায় বর্ণবাদী আচরণের প্রমাণ পাওয়ার কথা বলা হয়েছে জাস্টিস ডিপার্টমেন্টের তদন্ত প্রতিবেদনে। গত ৪ মার্চ ওই প্রতিবেদন প্রকাশের পর পুলিশ প্রধান জ্যাকসনের আগে আরো কয়েক সরকারি কর্মকর্তা পদত্যাগ করেছেন। বুধবার জমা দেওয়া পদত্যাগপত্রে জ্যাকসন লিখেছেন, “এই শহর ও আপনাদের সবার সেবা করার সুযোগ পাওয়াটা ছিল অনেক সম্মানের। “খুব দুঃখের সঙ্গে ঘোষণা করছি যে, পুলিশ প্রধানের পদ থেকে আমি পদত্যাগ করছি।” আগামী ১৯ মার্চ থেকে তার পদত্যাগপত্র কার্যকর হবে। গত বছর ৯ আগস্ট ফারগুসনের এক শ্বেতাঙ্গ পুলিশ কর্মকর্তার গুলিতে কৃষ্ণাঙ্গ তরুণ মাইকেল ব্রাউন নিহত হন। ওই হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদে দেশজুড়ে বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে। যুক্তরাষ্ট্রে কৃষ্ণাঙ্গদের বিরুদ্ধে পুলিশের অতিরিক্ত বলপ্রয়োগের অভিযোগ নিয়ে হৈ চৈ হয় আন্তর্জাতিক মহলেও। মিজৌরির এক গ্রান্ড জুরি ব্রাউনের হত্যাকারী শ্বেতাঙ্গ পুলিশ কর্মকর্তাকে দায়মুক্তি দেয়। বিচার বিভাগীয় একটি তদন্তেও ড্যারেন উইলসন নামের ওই কর্মকর্তার বিরুদ্ধে হত্যাকাণ্ডের অভিযোগ না আনার পক্ষে মত দেওয়া হয়। তবে জাস্টিস ডিপার্টমেন্টের এই তদন্তে ফারগুসনে পুলিশের বিরুদ্ধে আইন বহির্ভূতভাবে আফ্রিকান-আমেরিকানদের নিয়মিতভাবে গ্রেপ্তার ও হয়রানির প্রমাণ পাওয়ার কথা বলা হয়েছে।