আগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সুষ্ঠু হবে বলে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যে আশ্বাস দিয়েছেন, তাতে জনগণের ‘কোনো আস্থা নেই’ বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন।
শনিবার নয়া পল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি একথা বলেন।
২০১৪ ও ২০১৮ সালের নির্বাচনের প্রসঙ্গ টেনে মোশাররফ বলেন, “প্রধানমন্ত্রী গতকাল (শুক্রবার) যে কথা বলেছেন- ‘আগামী নির্বাচন সুষ্ঠু হবে’, উনি আশ্বাস দিতে চান। আমরা বলতে চাই, আমরা তো একটা নয়, দুইটা নির্বাচন দেখেছি।
“এই প্রধানমন্ত্রী যিনি একটা বয়কট ভোটের প্রধানমন্ত্রী, আরেকটা হল রাতের ভোট ডাকাতির প্রধানমন্ত্রী। উনি কী বললেন আগামী নির্বাচন সম্বন্ধে…এটা আমরা কেন, এদেশের কোনো জনসাধারণ কেউ এটা বিশ্বাস করে না।”
সাংবিধানিক প্রক্রিয়া ব্যাহত করার উদ্ভট ধারণাকে প্রশ্রয় দেবেন না: শেখ হাসিনা
মোশাররফ বলেন, আমরা তো একটা নয়, দুইটা নির্বাচন দেখেছি। উনার (প্রধানমন্ত্রী) দেওয়া দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন আমরা আগে দেখেছি।
“২০১৪ সালে নির্বাচন এদেশের মানুষ বয়কট করেছিল। ১৫৩টা আসন যেখানে সংখ্যাগরিষ্ঠতা লাগে সরকার গঠন করার জন্য, সেই সংখ্যাগরিষ্ঠ ১৫৩টা আসন বয়কট হয়েছিল। জনগণ ভোট দেয়নি, প্রার্থীও কেউ দাঁড়ায়নি আওয়ামী লীগ ছাড়া। সেখানে বয়কট জয়লাভ করেছিল। সেটাতে গায়ের জোরে আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় থেকেছে।
“তারপরে ২০১৮ সালেরটা। শুধু আমরা না। আজ আন্তর্জাতিকভাবেও স্বীকৃত যে দিনের ভোট রাতে ডাকাতি হয়েছে। জাপানের রাষ্ট্রদূত নিজে বলেছেন, দেখেছেন।”
সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, সেলিমা রহমান, ভাইস চেয়ারম্যান আহমেদ আজম খান, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য আমান উল্লাহ আমান, এজেড মোহাম্মদ আলী, কেন্দ্রীয় নেতা সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স, আবদুস সালাম আজাদ, কায়সার কামাল, মীর সরাফত আলী সপু প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।