ইউএস-বাংলার ওই ফ্লাইটের কো-পাইলট পৃথুলা রশীদের নানা এম এ মান্নান অপেক্ষায় আছেন মর্গের সামনে। তিনি বলেন, ‘আমি জানি না কবে লাশ পাব।’ নিহত আলীমুজ্জামানের আত্মীয় ফারুক আহমেদ বললেন, ‘মরদেহ কবে ফিরে পাব বুঝতে পারছি না।’
পরিকল্পনা কমিশনের সিনিয়র সহকারি প্রধান উম্মে সালমা ও নাজিয়া আফরিন চৌধুরীর লাশ নিতে গতকাল সরকারের দুই জন প্রতিনিধি কাঠমান্ডুতে পৌঁছেন। তারা বলেন, ‘আমরা লাশ নিতে এসেছি। শনাক্ত করার পর লাশ নিয়ে বাংলাদেশে চলে যাব।’
মেডিকেল কলেজ টিচিং হাসপাতালের ফরেনসিক বিভাগ সূত্র জানায়, এ পর্যন্ত ২২ জনের ময়নাতদন্ত শেষ হয়েছে। মরদেহ শনাক্ত করার পর দেশে কীভাবে পাঠানো হবে তা নিয়ে নেপাল ও বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় পর্যায়ে আলোচনা চলছে। ৮ টি লাশ আছে তাদের মুখ মন্ডল দেখে ছবি মিলিয়ে সনাক্ত করা সম্ভব। ১৪ জনকে চেনার কোনো উপায়ই নেই। তবে তাদের মধ্যে কয়জন বাংলাদেশি তা বলেনি ফরেনসিকের কর্মকর্তারা।
ফরেনসিক বিভাগের সহকারী অধ্যাপক রিজেন শ্রেষ্ঠা বলেন, বিভিন্ন মিডিয়ায় যাই আসুক আমরা ৪৯টি মরদেহ পেয়েছি। শনিবারের মধ্যে ময়নাতদন্ত শেষ হবে আশা করি। যাদেরকে চিহ্নিত করা যাবে না তাদের ডিএনএ টেস্ট হবে। আন্তর্জাতিক নিয়ম ফলো করা হচ্ছে তাই প্রক্রিয়া সম্পন্ন না হওয়ার আগে কোনো মরদেহ হস্তান্তর হবে না।