সুত্র জানায়, মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর ঘরে ঘরে বিদ্যুতায়ন পরিকল্পনার অংশ হিসেবে রংপুরের কাউনিয়া উপজেলায় প্রথম দফায় ২০১৮ সালের জুন মাস পরে তা পিছিয়ে সেপ্টেম্বর মাস এরপর আর এক দফা পিছিয়ে ২০১৮ সালের ডিসেম্বর মাসে শতভাগ বিদ্যুতায়নের পরিকল্পনা করা হয়েছে। উপজেলায় প্রায় ৭২ হাজার বিদ্যুৎ সংযোগের প্রয়োজন। এর মধ্যে গত পাঁচ মাসে বিদ্যুৎ সংযোগ দেয়া হয়েছে ৪ হাজার ৭’শ টি। এনিয়ে উপজেলায় বিদ্যুৎ সংযোগের সংখ্যা দাড়িয়েছে ৫৭ হাজার ৮’শ ৬৪ টি। এখনো বাকী রয়েছে প্রায় ২’শ কিঃ মিঃ সংযোগ লাইন স্থাপন।
এদিকে এলাকাবাসী বলছেন, নিয়মানুযায়ী সব কাগজ পত্র জমা দানের পরেও মাসের পর মাস বিদ্যুৎ পাওয়া যাচ্ছে না। কারন হিসেবে তারা বলেন, প্রথমে বিদ্যুৎ অফিসের বাইরে কিছু দালালের খপ্পরে পড়তে হয়। এদের অত্যাচারে অফিসে পৌছানোই দায় হয়ে পড়েছে। অপরদিকে দুর্নীতির কথা স্বীকার করলেন কাউনিয়া পল্লী বিদ্যুৎ এর পরিচালক খায়রুল ইসলাম হেলাল। তিনি জানান, আইনী জটিলতায় কয়েক বছর এখানে পরিচালক পদটি না থাকায় নানাবিধ জটিলতার সৃষ্টি হয়েছে। বিগত কয়েক বছরে ২/৩ জন ডিজিএম তাদের স্বেচ্ছাচারীতায় যা খুশী তাই করে গেছেন। দুর্নীতির কারনে জনৈক ডিজিএম চাকরীচ্যুতও হয়েছেন বলে তিনি জানান। তাই গভীরে বসে থাকা দুর্নীতি এখনো রয়েছে। এখন এসব দুর্নীতি দুর করার জন্য আমি সারাক্ষণ কাজ করে যাচ্ছি। আশাকরি আর কিছু দিনের মধ্যে দুর্নীতি বন্ধ হয়ে যাবে।
বার বার শতভাগ বিদ্যুতায়ন কেনো পেছানো হচ্ছে সে ব্যাপারে কাউনিয়া পল্লী বিদ্যুৎ এর ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার (ডিজিএম) নিশীথ কুমার কর্মকার জানান, প্রয়োজনীয় ট্রান্সফর্মা, মিটার, স্কুলেটর ও খুঁটিসহ প্রয়োজনীয় মালামাল সরবরাহ না থাকায় ও সময় মতো হাতে না পাওয়ায় এবং জনবলের ঘাটতির কারনে শতভাগ বিদ্যুতায়ন আরেক দফা পিছিয়ে গেলো। দুর্নীতি সম্পর্কে তিনি বলেন, অফিসের ভেতরে কোনো দুর্নীতি হয় না তবে বাইরের দুর্নীতিও বন্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে। তিনি আশা করেন এ দফায় কাউনিয়ার সকল ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ পৌছাবে।