সীমাহীন দূর্নীতি, অদক্ষতা, অনিয়ম, অব্যাবস্থাপনা ও স্বেচ্ছাচারিতার অভিযোগ এনে ফকিরহাট পল্লীবিদ্যুৎ ডিজিএম শওকত হোসেন এর অপসারন এবং গ্রাহক সেবা নিশ্চিত করার দাবিতে গত (২২/০৯/১৮) শনিবার বিকেল ৪টায় পূর্ব-রূপসা বাসষ্ট্যান্ডে এক মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।
রূপসা প্রেসক্লাবের সভাপতি রবিউল ইসলাম তোতার সভাপতিত্বে ও নৈহাটী ৭নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য আলমগীর হোসেন শ্রাবনের পরিচালনায় বক্তব্য রাখেন পল্লি বিদ্যুতের বঞ্চিত গ্রাহক মাহবুব খন্দকার, সাংবাদিক আল মাহমুদ প্রিন্স, মাহবুর সরদার, মানিকুল ইসলাম, ওহাব শেখ সহ আরো অনেকে। এসময় আরিফুর রহমান মোল্লা, প্রভাষক ইউসুফ আফেন্দী, হারুন মোল্লা, আশরাফ আলী রাজ, আলম শিকদার, আলী আকবর, নজরুল ইসলাম মিনা, মোঃ মিরাজ শেখ, আরশাদ আলী, তপতি মন্ডল, মহাসিন হোসেন মিঠু, হিরা মুক্তা, ওহাব শেখ, হরিপ্রসাদ, আলহাজ্ব মোঃ নাজমুল হোসেন, বাবলু শেখ, রেজাউল করিম, তারেক, কবির শেখ, আলামিন শেখ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন ।
বক্তারা বলেন, দূর্নীতিবাজরা অতি কৌশলে গ্রাহকদের সাথে প্রতারণা করে হাতিয়ে নিচ্ছে কোটি কোটি টাকা। বিএসটিআই এর পরীক্ষিত মিটার খুলে নিজেরা ম্যাকানিজম করে গ্রাহকের ঘরে ঝুলিয়ে দেয়। নিয়মানুযায়ী মিটারের চাকা ১০ বার ঘুরলে ১ পয়েন্ট ওঠার কথা। অথচ তাদের ম্যকানিজমে কারনে মিটারের চাকা ৭ বার ঘুরে ১ পয়েন্ট ওঠে। তারা এইভাবে গ্রাহকের ইউনিট চুরি করে লুটে নেয় কোটি কোটি টাকা। বিদ্যুৎ ব্যবহার না করলেও ভুতুড়ে বিদ্যুৎ বিলের কোন কমতি নেই। পবিত্র জুম্মার দিন সহ প্রায়ই নামাজের ওয়াক্তে বিদ্যুৎ থাকেনা। কোন কারণ ছাড়াই প্রতিদিন গড়ে ৮/১০ ঘণ্টা বিদ্যুৎ না থাকায় জনজীবন দূর্বীসহ হয়ে উঠেছে।সন্ধার পরে ঘন্টার পরে ঘন্টা বিদ্যুৎ না থাকায় শিক্ষার্থীদের পড়াশোনায় বিরুপপ্রভাব পড়ছে। পল্লী বিদ্যুতের এর এই অনিয়ম অব্যাবস্থাপনা এবং স্বেচ্ছাচারীতার কারনে বর্তমান সরকারের ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন হচ্ছে।
বক্তারা অবিলম্বে দূর্নীতিবাজ ডিজিএমকে অপসারন করে জনবহুল এই এলাকার বিদ্যুতের সেবা নিশ্চিত করার দাবি জানান। অবিলম্বে এই অবস্থার পরিবর্তন না হলে বিদ্যুৎ বিল দেওয়া বন্ধ করতে বাধ্য হবো। এতেও যদি কাজ না হয় তাহলে আগামীতে পল্লী বিদ্যুৎ অফিস ঘেরাও করার কর্মসূচী দেয়া হবে বলে হুশিয়ারি দেন।