বাংলাদেশের ব্যাংকিং খাত থেকে ১৭ বিলিয়ন ডলার লুটের অভিযোগ তুলেছেন বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আহসান এইচ মনসুর। তিনি জানান, সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দোসর ধনকুবেররা এই কাজে একটি গোয়েন্দা সংস্থার সহযোগিতা পেয়েছে।
ফিন্যান্সিয়াল টাইমসের সোমবার (২৮ অক্টোবর) প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গত ৫ আগস্ট গণআন্দোলনের মুখে শেখ হাসিনা পদত্যাগ করে দেশ ছাড়েন এবং তার পরে আহসান এইচ মনসুর নতুন গভর্নর হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেন। সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, গোয়েন্দা সংস্থার মহাপরিচালকরা ব্যাংকগুলোকে জোরপূর্বক দখলে সহায়তা করেছেন।
মনসুর জানান, ব্যাংক দখলের পর প্রায় ১৬.৭ বিলিয়ন ডলার হাতিয়ে নেওয়া হয়েছে। এই অর্থ আত্মসাৎ করতে নতুন শেয়ারহোল্ডারদের ঋণ দেওয়ার পাশাপাশি আমদানি চালান বাড়ানোর মতো পদ্ধতি ব্যবহার করা হয়েছে। তিনি বলেন, “এটি আন্তর্জাতিক মানদণ্ডে সবচেয়ে বড় ব্যাংক লুটপাট।”
এস আলম গ্রুপের প্রতিষ্ঠাতা মোহাম্মদ সাইফুল আলম এবং তার সহযোগীরা বিভিন্ন ব্যাংকের নিয়ন্ত্রণ গ্রহণ করার পর ব্যাংকিং ব্যবস্থায় ১০ বিলিয়ন ডলার হাতিয়ে নিয়েছেন। সাইফুল আলমের পক্ষে ল ফার্ম কুইন ইমানুয়েল উরকুহার্ট অ্যান্ড সুলিভান দাবি করেছে যে গভর্নরের অভিযোগের কোনো সত্যতা নেই এবং এটি বিনিয়োগকারীদের আস্থা ক্ষুণ্ণ করেছে।
প্রতিবেদনে আরও উল্লেখ করা হয়েছে, সম্প্রতি যুক্তরাজ্যের সহায়তা চাওয়া হয়েছে শেখ হাসিনার মিত্রদের বৈদেশিক সম্পদের তদন্তের জন্য। সাবেক ব্যাংক কর্মকর্তাদের বরাত দিয়ে বলা হয়েছে, ব্যাংক বোর্ডের সদস্যদের হুমকি দেওয়া হয়েছে এবং তাদেরকে পদত্যাগ করতে বাধ্য করা হয়েছে।
এখন প্রশ্ন উঠছে, ব্যাংকিং খাতের এই বৃহৎ লুটপাটের পেছনে কারা দায়ী এবং এর বিরুদ্ধে কার্যকর ব্যবস্থা নেওয়া হবে কি না।