ফুলবাড়ীতে এক মসজিদের ইমামের বিরুদ্ধে বাড়ি ভাঙচুর ও মারধোরের অভিযোগ

স্টাফ রিপোর্টার:
কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ী উপজেলায় ধর্মীয় মতভেদের জেরে হেযবুত তওহীদ এক সদস্যের বাসায় ভাঙচুর, মারধোর ও লুটপাটের অভীযোগ উঠেছে চরলই মুন্সিপাড়া জামে মসজিদের ইমাম মাওলানা নুরুজ্জামানসহ কয়েকজন মসল্লির উপর।

ঘটনাটি ঘটেছে শুক্রবার বেলা আড়াইটার দিকে উপজেলার বড়ভিটা ইউনিয়নের চরলই এলাকার আজিম উদ্দিনের বাসায়।
এ ঘটনায় শনিবার সন্ধ্যায় আক্রান্ত হেযবুত তওহীদ সদস্য আজিম উদ্দিনের ছেলে মো. ঈসা গনি বাদী হয়ে একই এলাকার মসজিদের ইমাম মাওলানা নুরুজ্জামান সহ ৬জনকে আসামি করে ফুলবাড়ী থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।

অভিযোগে জানা যায়, শুক্রবার জুম্মার নামাজের পরে চড়লই মুন্সিপাড়া জামে মসজিদের সভাপতি করিম উদ্দিন একই এলাকার আজিম উদ্দিন এর ছেলে হেযবুত তওহীদ সদস্য মোঃ ইসা গনিকে কৌশলে মসজিদের ভিতরে ডেকে নিয়ে যায়। মসজিদে বসে থাকা ইমাম মাওলানা নুরুজ্জামান হেযবুত তওহীদের মাধ্যমে সরকারের দালালি বাদ দিয়ে জামাতে যোগ দিয়ে তাদের সাথে কাজ করার প্রস্তাব দেন এবং হেযবুত তওহীদ এর কার্যক্রম নিয়ে মিথ্যা বিভ্রান্তকারী কিছু কথা বলেন ইসা গনি এই কথার প্রতিবাদ করলে ইমামসহ কয়েকজন মুসল্লি তার উপর ক্ষিপ্ত হয় এবং
হেযবুত তওহীদের জঙ্গিবাদ সন্ত্রাসবাদ ও সাম্প্রদায়িকতা বিরোধী কার্যক্রম থেকে বিরত থাকার আল্টিমেটাম দিয়ে বেদম মারপিট করে ও সাথে থাকা মোবাইল ফোন ভেঙ্গে ফেলে।
মসজিদে সঙ্গবদ্ধ হট্টগোল দেখে ইসা গনির বড় ভাই ওসমান গনি ও তার মা আগাইয়া গেলে ওসমান গনিকেও তারা মারধর করে এবং তার মা উমিনা বেগমকে লাঞ্ছিত করে।
পরে তারা সংঘবদ্ধভাবে ইসা গনির বাসায় গিয়ে তার পরিবারের অন্য সদস্যদের শাসিয়ে একটি ল্যাপটপ ছিনিয়ে নিয়ে যায় এবং তিনদিনের মধ্যে অত্র এলাকার হেযবুত তওহীদের সদস্যদের দেখে নেওয়ার হুমকি দিয়ে চলে যায়।

আক্রন্তের শিকার ইসার বাবা আজিম উদ্দিন জানান, আমার ছেলে শান্তিপূর্নভাবে হেযবুত তওহীদের কাজ করে আসছিল এই কাজে বিভিন্ন সময় মাওলানা নুরুজ্জামান হুমকি দেয় এবং শুক্রবার কয়েকজন টুপি পাঞ্জাবি পড়া লোকসহ আমার ছেলেকে মারধোর ও বাসায় ভাংচুর লুটপাট করে।

ঘটনার বিষয়ে অভিযুক্ত মাওলানা নুরুজ্জামানের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি এক কথায় জবাব দেন, ‘যা করেছি তার জবাব ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানের কাছে দিব’।

বিষয়টি নিয়ে এলাকায় জনমনে উত্তেজনাকর পরিবেশ বিরাজ করছে প্রশাসন ও সংশ্লিষ্ট কতৃপক্ষ দ্রুত হস্তক্ষেপ না করলে বড় ধরনের অনাকাক্ষিত ঘটনা ঘটতে পারে বলে মনে করছেন এলার বিজ্ঞজন।

এ ঘটনায় হেযবুত তওহীদ কুড়িগ্রাম জেলা শাখার সভাপতি মোঃ মকবুল হোসেন জানান, হেযবুত তওহীদের মহতি কাজকে ব্যহত করতে পরিকল্পিতভাবে চরলই মসজিদের ইমাম কয়েকজন মসল্লিকে উসকে দিয়ে এই ঘটনা ঘটিয়েছে আমরা এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই এবং সেই সাথে তাদেরকে দ্রুত গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিও জানান তিনি।

এ বিষয়ে বড়ভিটা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান খয়বার আলী দু’পক্ষকে নিয়ে বসে শান্তিপূর্ণ সমাধানের ব্যবস্থা করছেন বলে জানান।

ঘটনার অভিযোগের বিষয়ে তদন্তকারী কর্মকর্তা এস আই শাহিন ইসলাম বলেন, অভিযোগ পাওয়ার পর রবিবার সকালে ঘটনাস্থলে গিয়ে দু’পক্ষকে শান্তিপূর্ণভাবে বসবাস করতে বলা হয়েছে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যানসহ দূর্গা পূজার পরে তারিখ নির্ধারণ করে সুষ্ঠু সমাধান করবেন বলে জানান তিনি ‌।

Comments (0)
Add Comment