ফেসবুকের কমেন্ট নিয়ে হেযবুত তওহীদের বিরুদ্ধে ধর্মীয় উন্মাদনা সৃষ্টির প্রতিবাদ


প্রেস বিজ্ঞপ্তি:
ফেসবুকের একটি আপত্তিকর কমেন্ট নিয়ে হবিগঞ্জে চলছে আন্দোলন। পোস্টদাতা ও কমেন্টকারী কেউই হেযবুত তওহীদের সদস্য নয় এবং এ ঘটনাটির সঙ্গে হেযবুত তওহীদের দূরতম সম্পর্কও নেই। তবু এর সঙ্গে হেযবুত তওহীদকে জড়িয়ে এর সদস্যদের জানমালের ক্ষতি সাধন করার অপচেষ্টা করা হচ্ছে।

হেযবুত তওহীদ নীতিগতভাবে একটি আইনমান্যকারী আন্দোলন। এর বিগত ২৫ বছরে আইন ভঙ্গ করার একটি রেকর্ডও নেই। তথাপি একটি বিশেষ গোষ্ঠী বিভিন্ন ধরনের ধর্মীয় ইস্যুকে কেন্দ্র করে এই আন্দোলনের বিরুদ্ধে জনগণকে ক্ষেপিয়ে তুলে সন্ত্রাস সৃষ্টি করার পাঁয়তারা করে যাচ্ছে। যৌক্তিক কোনো বিষয় না পেয়ে সম্প্রতি তারা এমন একটি বিষয় নিয়ে হেযবুত তওহীদের বিরোধিতায় অবতীর্ণ হয়েছে যেটার সঙ্গে এই আন্দোলন কোনো দিক থেকেই জড়িত নয়।

বছর তিনেক আগে নুরুল আলম নামের জনৈক ব্যক্তি তার ফেসবুক আইডিতে মৃত আব্দুর রহমান, শায়খে দিগলবাগী, হবিগঞ্জী নামীয় একজন ধর্মীয় ব্যক্তিত্বের ছবি পোস্ট করে। গত ২১ আগস্ট ২০২০ তারিখে এম ডি আলমগীর নামের একটি আইডি থেকে সেই ছবিতে আপত্তিকর ছবি পোস্ট করা হয়। উক্ত কমেন্টকে কেন্দ্র করে একাধিক ফেসবুক আইডি থেকে মৃত আব্দুর রহমান, শায়েখে দিগলবাগীর ভক্ত পরিচয় দিয়ে অবিশ্রান্তভাবে শুরু হয় ধর্ম অবমাননার অভিযোগে হুমকি-ধামকি।

এখানেই শেষ হয় না। ২২ আগস্ট ২০২০ তারিখে দিগলবাগ বাজারে আলেম ওলামাদের নেতৃত্বে বহু মাদ্রাসার ছাত্র, শিক্ষক ও উত্তেজিত জনতা প্রতিবাদ সমাবেশ করে। সেখানেও কমেন্টকারীর বিরুদ্ধে যথারীতি উত্তেজনাকর উস্কানিমূলক বক্তব্য প্রদান করার সময় অযাচিত ও অসংলগ্নভাবে হেযবুত তওহীদের প্রসঙ্গ টানা হয়।

এখানে উল্লেখ্য যে, হবিগঞ্জ এলাকায় দীর্ঘদিন থেকে হেযবুত তওহীদের কার্যক্রম চলমান রয়েছে। পূর্বেও বহুবার হেযবুত তওহীদের বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ তুলে এমনই প্রতিবাদ সভা করা হয়েছিল যা যুক্তিহীন হওয়ায় ধোপে টেকেনি। এই কমেন্ট সংক্রান্ত প্রতিবাদ সভাতেও হেযবুত তওহীদকে লক্ষ্য করে গালিগালাজ, ফতোয়াবাজি, হুমকি ধামকি প্রদান করা হয়েছে এবং হবিগঞ্জ থেকে হেযবুত তওহীদের কার্যক্রমকে উৎখাত করার মতো অনৈতিক বেআইনী দাবি জানানো হয়েছে। প্রয়োজনে পেশীশক্তি প্রয়োগ করে আইন হাতে তুলে নেওয়ার আহ্বানও জানানো হয়েছে প্রকাশ্যভাবে।

এ বিষয়ে আমাদের আন্দোলনের সুস্পষ্ট বক্তব্য হলো, হেযবুত তওহীদ একটি আদর্শিক আন্দোলন। তাই হেযবুত তওহীদের নীতি হচ্ছে, আমাদেরকে ফেসবুকে যত গালিগালাজই করা হোক না কেন, আমাদের বিরুদ্ধে যত অপপ্রচারই হোক না কেন আমরা কখনও কাউকে আপত্তিকর ভাষা দিয়ে জবাব দিব না। বরং আমরা এর জন্য প্রচলিত আইনের দ্বারাস্থ হবো। আর এম ডি আলমগীর নামীয় যে আইডি থেকে আপত্তিকর কমেন্ট করা হয়েছে বলে দাবি করা হচ্ছে সেটি আমাদের কোনো সদস্যের আইডিও নয়। আমরা চাই প্রশাসন তদন্ত করে প্রকৃত সত্য উদঘাটন করুক এবং যদি কেউ অপরাধ করেই থাকে তবে সেই অপরাধীকে আইনের মুখোমুখী দাঁড় করানো হোক। এমন কি হেযবুত তওহীদের কোনো সদস্যও যদি কোনো অন্যায় অপরাধ করে থাকেন তাহলে তিনিও আইনের উর্ধ্বে নন। মোট কথা কোনো সম্মানিত লোকের অসম্মান যদি কেউ করে থাকে তার ব্যাপারে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হোক। কিন্তু হেযবুত তওহীদের সঙ্গে সম্পর্কিত নয় এমন একটি ইস্যু নিয়ে ধর্মীয় উন্মাদনা ও হুজুগ সৃষ্টি করে উধোর পিণ্ডি বুধোর ঘাড়ে চাপিয়ে দেওয়ার যে ষড়যন্ত্র চলছে তা যদি বাস্তবায়িত হয় তাহলে তা হবে ঘোরতর অন্যায়। এটা যেন না হতে পারে সেজন্য গণমাধ্যমের মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট মহলের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।

সর্বোপরি কথা হচ্ছে, যে কোনো পরিস্থিতিতে হেযবুত তওহীদের বিষয়ে কোনো কথা উঠলে সেটা সম্পর্কে হেযবুত তওহীদের কর্তৃপক্ষের নিকট থেকে জেনেশুনে নিশ্চিত হয়ে গণমাধ্যমকর্মীরা তা প্রচার করবেন এটাই আমাদের প্রত্যাশা।

হেযবুত তওহীদ
Comments (0)
Add Comment