২২/০৪/২০১৯ তারিখে দূর্গাহাটা ইউনিয়ন পরিষদের হলরুমে গাবতলী উপজেলায় হেযবুত তওহীদের নারী নেতৃবৃন্দের আয়োজনে এ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। ধর্মের অপব্যবহার, নারী প্রগতির অন্তরায় শীর্ষক এই সমাবেশে হেযবুত তওহীদের জেলা ও স্হানিয় উপজেলার নেতৃবৃন্দ সহ জেলার নারী সদস্যগন ও জেলার বিভিন্ন স্থান থেকে সাধারন নারীগন অংশগ্রহণ করেন। এতে উপজেলা হেযবুত তওহীদের মহিলা বিষয়ক সম্পাদক মোছা. চম্পা বেগম এর সভাপতিত্বে এতে প্রধান অতিথি ও মূখ্য আলোচক হিসেবে বক্তব্য রাখেন হেযবুত তওহীদের রাজশাহী বিভাগীয় মহিলা বিষয়ক সম্পাদক আফরুজা মনির লিপি। বিশেষ অতিথি হিসাবে বক্তব্য রাখেন গাবতলী মডেল থানার এস আই মো. সালাহ্উদ্দিন আল-মামুন, বগুড়া জেলা হেযবুত তওহীদের সভাপতি সালজার রহমান সাবু, জেলা মহিলা বিষয়ক সম্পাদক মোছা. ফাতেমা আক্তার। আমন্ত্রীত অতিথি হিসাবে উপস্হিত ছিলেন হেযবুত তওহীদের কেন্দ্রীয় কমিটির নির্বাহী সদস্য যোবায়ের আহম্মেদ নুহু, বগুড়া জেলা কমিটির তথ্য সম্পাদক খাজা আহম্মেদ রতন, স্হাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক ডা. শরিফুল আলম টিপু, শ্রম ও কর্মসংস্হান বিষয়ক সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম সবুজ, আইন বিষয়ক সম্পাদক রফিকুল ইসলাম রফিক, রাজনৈতিক বিষয়ক সম্পাদক মো. নুরুল ইসলাম নুর, ক্রিয়া সম্পাদক সাজেদুর রহমান সাজু, তথ্য প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক মো. সহেল রানা সহ স্হানিয় হেযবুত তওহীদের নেতৃবৃন্দ। অনুষ্ঠানটির সঞ্চালনা ছিলেন বগুড়া জেলা হেযবুত তওহীদের সাহিত্য সম্পাদক কনিকা আক্তার কেয়া সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানের শুরুতেই পবিত্র কোরআন থেকে তেলওয়াত করেন স্হানিয় সদস্য মোছা. মিতু আক্তার।
সমাবেশে বক্তাগন প্রকৃত ইসলামে নারীর সম্মান, মর্যাদা ও তাদের অধিকার বিষয়ে আলোকপাত করেন। তারা বলেন, আল্লাহর রাসুল (সা.) আইয়ামে জাহেলিয়াতের নির্যাতিত নারীদেরকে কিভাবে সমাজে সম্মানীত স্থানে অধিষ্ঠিত করলেন, কিভাবে পুরুষের পাশাপাশি নারীদেরকে সমাজের প্রতিটি কাজে সমানভাবে অংশগ্রহণ নিশ্চিত করলেন সে ইতিহাস আমাদেরকে জানতে হবে। তারা বলেন, বর্তমান বস্তুবাদি ইহুদি-খ্রিষ্টান সভ্যতার এই যুগে নারীরা যেন আইয়্যামে জাহেলিয়াতের থেকেও কঠিন পরিস্হিতির মধ্যে আছে। একদিকে নারীদের একটি বিরাট অংশ ধর্মের ভুল ব্যাখ্যার শিকার হয়ে গৃহকোনে বন্দি অন্যদিকে পাশ্চাত্যের সমাজে নারীরা কথিত স্বাধীনতা ও অধিকারের নামে একপ্রকার ভোগ্যপণ্যে পরিনত হয়েছে। প্রচলিত পুঁজিবাদী সমাজে নারীরা প্রচন্ড কায়িক পরিশ্রম করতে বাধ্য হচ্ছে, শিক্ষা কিংবা কর্মক্ষেত্রে নানা এধরণের বৈষম্যের শিকার হচ্ছে। এটা নারীদের অধিকার নয়, বরং অধিকার হারানোর ফল। শুধু ইসলাম ধর্মই নয়, সকল ধর্মই নারীদেরকে তাদের পূর্ণ মর্যাদা দিয়েছে। কিন্তু আজ সেই মর্যাদার আসনে নারীরা কোথায় ? একথা কেউ নিশ্চয়ই অস্বীকার করতে পারবেন না যে, নারীদেরকে পশ্চাৎপদ রেখে জাতির সত্যিকার উন্নতি হবে না। যেহেতু আমাদের জনসংখ্যার অর্ধেকই নারী সেহেতু এই বিরাট জনগোষ্ঠিকে বঞ্চিত করে জাতির সত্যিকার উন্নতি সম্ভব নয়। তাই জতির প্রয়োজনেই এখন নারীদেরকে জেগে উঠতে হবে। তারা দেশের আপামর নারী জনতার প্রতি মানবতার কল্যাণে কাজ করতে চারদেয়ালের মিথ্যা বন্ধন ছিন্ন করার আহবান জানান। এসময় উপস্হিত শতশত নারীগণ অতিথিদের বক্তব্যকে স্বগত জানিয়ে হেযবুত তওহীদের সাথে ঐক্যবদ্ধ হয়ে মানবতার কল্যানে কাজ করার অঙ্গীকার প্রদান করেন।