পারিবারিক সুত্রে জানা গেছে, উপজেলার কানুপুর গ্রামের হত দরিদ্র পরিবারের বুলু মিয়ার মেয়ে সপ্না খাতুন তাদের পরিবারের ২ বোন ও ১ভায়ের মধ্যে দ্বিতীয়। গত এক মাস আগে হঠাৎ সপ্না খাতুন তার শারীরিক অবস্থার পরিবতন টের পায়। এ বিষয়ে সপ্না তার মাকে জানায়। তবে লোকলজ্জার ভয়ে তার মা বিষয়টি গোপন রাখেন। সপ্না আরো জানান গত ১ মে রাতে হঠাৎ তার শারীরিক গঠন পরিবর্তন হয়ে যায়। তার পর থেকেই সপ্না তার পরিবারের সদস্যদের সাথে পুরুষের মতো আচরণ চলাফেরা করতে থাকে এবং শার্ট,প্যান্ট পড়তে শুরু করে ও মাথার চুল কেটে আমী কাটিং করেছে। গতকাল বৃহস্পতিবার থেকে আজ শুক্রবার স্বপ্নাকে এক নজর দেখতে তার বাড়িতে হাজারো মানুষ হুমড়ি খেয়ে পড়েছে। দেখতে আসা কয়েক জন লোকের সঙ্গে কথা হলে তারা জানান, এমন ঘটনা আমরা এর আগে দেখিনি তাই দেখলাম এবং অবাক হয়ে গেলাম। তবে অনেক ছেলে মেয়ে হবার কথার খবর শুনেছি অনেক কিন্তু মেয়ে থেকে ছেলে রুপান্তরিত হবার খবর এই প্রথম শোনা গেল। তার নাম সপ্না থেকে স্বপন নামে পরিবতন করে উৎসুক জনতার মাঝে ঘোষনা করেন তার বাবা।
সপ্নার বাবা আরো জানান,২০১২ সালে ফুপাতো ভাই জাহিদুলের সঙ্গে বিবাহ সম্পন্ন হলেও শারীরিক সমস্যার কারনে সংসার করেনি সপ্না। এতে বাবা মার দুশ্চিন্তার অন্ত থাকেনা। সপ্নাকে বুঝিয়ে তার ইচ্ছার বিরুদ্ধে আবারও শিবগঞ্জ উপজেলার আলিয়ারহাটের আমেরকান্দি গ্রামের দেলোয়ারের সঙ্গে ২০১৫ সালে দ্বিতীয় বার বিবাহ দেওয়া হয়।
পারিবারিক সুত্রে জানা যায়, বিবাহ দেওয়া হলেও দেলোয়ারকে স্বামী হিসাবে মেনে নেয়নি সে। বিয়ের ১৫দিন পরেই আবার বাবার বাড়িতে ফিরে আসে সপ্না। এ বিষয়ে শিবগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা অফিসার ডা. মুসা আল মানসুর এই প্রতিবেদককে বলেন, অনেক সময় হরমোন জনিত কারণে শারীরিক পরিবতন হতে পারে। তবে তাকে চিকিৎসকের কাছে নিয়ে যাওয়া প্রয়োজন।