শনিবার দিবাগত রাত দেড়টার দিকে বগুড়া শহরের একটি ক্লিনিকে তার মাথায় অস্ত্রপচার করে গুলি বের করতে সক্ষম হয়েছেন একদল চিকিৎসক।নিউরো সার্জন ডাঃ ফরিদুল ইসলামের নের্তৃতে কমপক্ষে একডজন ডাক্তারদের সময়ে একটি বিশেষ মেডিকেল টিম তারাজুলের মাথায় অস্ত্র প্রচার শুরু করেন ।
এসময় সেখানে ডাক্তার রেজাউল করিম জুয়েল ,জেনারেল সার্জন জাফর সাদী, ডাঃ সামির হোসেন মিশু, ডাঃ জাকির হোসেন ,ডাক্তার তোহিন এবং ডাক্তার মোস্তাফা আলম নান্নু সহ বেশ কয়েকজন ডাক্তার অংশ গ্রহন করেন।প্রায় দেড় ঘন্টার অপারেশনরে পর গুলি বিদ্ধ তারাজুলের মাথা থেকে একটি বুলেট অপসারন করেন
এদিকে তারাজুল মারা গেছেন দিনভর এমন গুঞ্জন চলে ফেসবুকসহ বিভিন্ন অনলাইন সোশ্যাল মিডিয়া গুলোতে। শনিবার রাত সাড়ে ৭টায় চেয়ারম্যান তারাজুলের এক আত্মিয়া তার স্ত্রী শাপলার বরাত দিয়ে জানান, তাকে লাইফ সাপোর্টে বগুড়ায় আনা হচ্ছে। এরপর শহরের একটি কিনিকে ভর্তি করানো হবে।
শেষ অবধি একটি এ্যাম্বুলেন্সে করে সাড়ে ৯টার টার দিকে গুলিবিদ্ধ তারাজুলকে লাইফ সার্পোটে বগুড়া নিয়ে আসা হয় । তাকে ভর্তি করা হয় শহরের কানুচগাড়ী এলাকার তেসলা নিউরো সাইন্স নামের একটি ক্লিনিকে । সেখানেই তার মাথায় অস্ত্রপচারের প্রস্তুতি সম্পন্ন করা হয় ।এর আগে ব্যাপক প্রস্তুতি এবং নিবীড় পর্যবেক্ষন শেষে তাকে অপারেশন থিয়েটারে নিয়ে যাওয়া হয় ।
প্রসঙ্গত, গত শুক্রবার দিবাগত রাত সাড়ে ৩টার দিকে কে বা কাহার বাড়ির বাহিরে চেয়ারম্যান সাহেব বলে ডাকাডাকি করেন। এসময় ঘরের জানালা খুলে দেন তারাজুল। তখনই দুর্বৃত্তরা তারাজুলকে লক্ষ্য করে কয়েক রাউন্ড গুলি করে পালিয়ে যায় তারা।এসময় মাথায় গুলি বিদ্ধ হয়ে গুরুতর আহত হন তিনি। রাতেই প্রথমে বগুড়ার শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। পরে অবস্থার অবনতি ঘটলে উন্নত চিকিৎসার জন্য গুলিবিদ্ধ তারাজুল ইসলামকে হেলিকপ্টারযোগে ঢাকার স্কয়ার হাসপাতালে নেওয়া হয়। পরে তাকে লাইফ সাপোর্টে বগুড়ায় আনা হয়।
ডাক্তার রেজাউল করিম জুয়েল জানা, বর্তমানে তাকে আইসিউতে কৃত্রিম শ্বাসপ্রশ্বাসের মাধ্যমে রাখা হয়েছে। তার রক্তচাপ এবং পালস্ ঠিক আছে বলে তিনি জানান।