বগুড়ায় ২২,৯৮৬ মে. টন অতিরিক্ত বোরো চাল সংগ্রহ লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ

বগুড়া প্রতিনিধি: এবার বগুড়ায় সরকারি বোরো চাল সংগ্রহ অভিযান নির্ধারিত সময়ের ৪০ ভাগ অর্জিত হলেও অতিরিক্ত সংগ্রহ লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। বাড়ানো হয়েছে সময়ও। ২৫ জুলাই থেকে পুরো আগস্ট পর্যন্ত সংগ্রহ লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারিত ছিল ৩৩ হাজার ২শ’ ৫১ মেট্রিক টন। অর্জিত হয়েছে প্রায় ১৩ হাজার মেট্রিক টন। যার লক্ষ্যমাত্রা ৪০ ভাগ।
এদিকে অতিরিক্ত ২২ হাজার ৯শ’ ৮৬ মেট্রিকটন সংগ্রহ লক্ষ্যমাত্রা দেওয়ায় সর্বমোট সংগ্রহ লক্ষ্যমাত্রা দাঁড়িয়েছে ৫৬ হাজার ২শ’ ৩৭ মেট্রিকটন। সময়সীমা নির্ধারণ করা হয়েছে আগামী ১৫ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত। এবার বোরো সিদ্ধ চাল কিছুটা দেরিতে শুরু করা হয়েছে। কারণ এর আগে সরকার বোরো ধান সংগ্রহ অভিযান চালায়। বগুড়ায় বোরো ধান সংগ্রহ অভিযান নির্ধারিত লক্ষ্যমাত্রা অর্জনের পরও কিছু অতিরিক্ত ধান ক্রয় করা হয়েছে বলে জানান বগুড়া জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক মো. জামাল হোসেন।
বগুড়ায় বোরো চাল সংগ্রহের শুরু থেকেই হোঁচট খায়। সরকারের বোরো ধান ক্রয়, দেশে বন্যা তাছাড়া চালসংগ্রহ দেরিতে হওয়ায় মিলাররা বাজারে ধান পাচ্ছেন না বলে অভিযোগ করছেন। যাও পাওয়া যাচ্ছে তার দামও বেশি পড়ছে। তাতে মিলাররা চাল করে গুদামে সরবরাহ করতে গিয়ে ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছেন। এদিকে বগুড়ার বাজারে হঠাৎ করেই বেড়েছে ধান-চালের দাম। বিয়ার এগারো চাল বগুড়ার ফতেহ আলী বাজারে প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ৩২/৩৩ টাকায়। ধানের মূল্য মণপ্রতি বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৮শ’ থেকে সাড়ে ৮শ’ টাকায়।
বগুড়া জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক জামাল হোসেন জানান, চাল সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা পূরণ হওয়া সম্ভব। অনেক মিলারই আগে থেকে ধান কিনে রেখেছেন। তারা চুক্তি অনুযায়ী চাল সরবরাহ করছেন। তবে বাজারে ধান-চালের মূল্য বেড়ে যাওয়ায় যে সকল মিলারদের পুঁজি কম তারা কিছুটা সমস্যায় পড়তে পারে।
সরকারের অতিরিক্ত সংগ্রহ লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণের কারণ জানতে চাইলে তিনি বলেন, সরকার আরেকটি মহৎ উদ্যোগ গ্রহণ করেছে যা ইতোমধ্যে বাস্তবায়ন শুরু হয়েছে। সারা বাংলাদেশে ৫০ লক্ষ পরিবারকে ১০ টাকা মূল্যে প্রতি কেজি চাল দিতে শুরু করেছে। এতে সরকারের অতিরিক্ত চাল লাগতে পারে। মিলারদের আগের লক্ষ্যমাত্রা পূরণ না হতেই আবারো অতিরিক্ত লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হলে তা স্বল্প সময়ে পূরণ সম্ভব কিনা প্রশ্নে তিনি বলেন, মিলারদের সঙ্গে কথা হয়েছে তবে পবিত্র ঈদুল আযহার ছুটি থাকার সময় কিছুটা বাড়ানো হতে পারে। সময় বাড়ানো হলে লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করা সম্ভব হবে। বগুড়া জেলায় মোট ২৩টি এলএসডি ও ১টি সিএসডি গোডাউনে চালসংগ্রহ অভিযান অব্যাহত আছে। বগুড়া জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক গোডাউনের ধারণ ক্ষমতা অনুযায়ী এ লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছেন।
বগুড়া বেতগাড়ী এলএসডিএর কর্মকর্তা মো. আতাউর রহমান জানান, প্রথম পর্যায়ে বেতগাড়ীর গোডাউনে বোরোসিদ্ধ চাল সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয় ১১শ’ ৪৬ মেট্রিক টন। যা নির্ধারিত সময়ে অনেকটাই অর্জিত হয়েছে।

Comments (0)
Add Comment