বন্যা পরিস্থিতির অবনতি: সাঘাটা-গাইবান্ধা-ফুলড়ির যোগাযোগ বিচ্ছিন্নের সম্ভাবনা

গোবিন্দগঞ্জ(গাইবান্ধা) প্রতিনিধি: গাইবান্ধা জেলার সার্বিক বন্যা পরিস্থিতি মারাত্মক অবনতি হচ্ছে। ঘাঘট নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়ে বিপদসীমার ৬৮ সে.মি. এবং ব্রহ্মপুত্র নদের বালাসি পয়েন্টে ৫৮ সে.মি. উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। সাঘাটা-গাইবান্ধা, ফুলছড়ি সড়কের ভরতখালী ও উল্লাবাজার এলাকার ১০টি পয়েন্ট দিয়ে পানি প্রবাহিত হওয়ায় যেকোন সময় জেলা সদরে সাথে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। জেলার ২ হাজার পানিবন্দী মানুষ তাদের ঘরবাড়ি ছেড়ে বন্যা আশ্রয় কেন্দ্র ও বিভিন্ন বাঁধে উঠেছে। বন্যা কবলিত জেলার সাঘাটা, ফুলছড়ি, সদর ও সুন্দরগঞ্জ উপজেলার ২৩টি ইউনিয়নে পানিবন্দি প্রায় ৩ লাখ মানুষের বিশুদ্ধ পানি ও পয়ঃনিষ্কাশন, শুকনো খাদ্য খাবর, গবাদি পশু সংরক্ষণ ও পশু খাদ্য সংকটে পড়েছে। জেলা ও উপজেলা প্রশাসন এবং স্থানীয় জনপ্রতিনিধিগণ বন্যার্ত এলাকায় গিয়ে পানিবন্দী মানুষের খোঁজ-খবর নিচ্ছেন। এদিকে গাইবান্ধা-সাঘাটা সড়কের আশপাশের লোকজনের মধ্যে আতংক বিরাজ করছে। ক্ষতিগ্রস্ত সড়ক রক্ষায় স্থানীয়রা বালির বস্তা ফেলে ঠেকানোর চেষ্টা করলেও পানি উন্নয়ন বোর্ড বা সড়ক ও জনপদ বিভাগের কোন পদক্ষেপ নেই বলে অভিযোগ করেছেন অনেকেই। গাইবান্ধা জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে বন্যার্ত মানুষের মাঝে ৫০ মে.টন চাল ও নগদ ৪ লাখ টাকার শুকনো খাবার বরাদ্দ করা হয়েছে।

Comments (0)
Add Comment