স্পোর্টস ডেস্ক:
ভারতের বিপক্ষে সিরিজ জয়ের পর পাকিস্তানের সাবেক ফাস্ট বোলার সরফরাজ নেওয়াজ ষড়যন্ত্র তত্ব বের করেছিলেন। বলেছিলেন, ‘পাকিস্তানকে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি থেকে বাদ দিতেই বাংলাদেশের কাছে ইচ্ছা করে হেরেছে ভারত।’ ওই সময় তিনি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে নরেন্দ্র মোদির ক্রিকেট কূটচালের কথাও বলেছিলেন। ওই সফরের ঠিক আগে বাংলাদেশ সফর করে যান ভারতের প্রধানমন্ত্রী। নেওয়াজের ধারণা, মোদির সঙ্গে হাসিনা ক্রিকেট নিয়েও আলোচনা করেছেন। এ কারণেই ভারতের মতো দল বাংলাদেশের কাছে সিরিজ হেরেছে। দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে সিরিজ জয়কেও মানতে পারেনি পাকিস্তানের সাবেক অধিনায়ক রমিজ রাজা। তার মতে, ‘পাকিস্তানকে ২০১৭ চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি থেকে বাদ দিতেই কাড়ি কাড়ি টাকা ঢেলে বাংলাদেশ প্রোটিয়াদের হারিয়েছে। না হয় দক্ষিণ আফ্রিকার মতো ক্রিকেট পরাশক্তি কিভাবে পরপর দুই ম্যাচে ১৬০ এর আশেপাশে অলআউট হয়।’ এটা নিয়ে তিনি আইসিসির কাছে তদন্তেরও আহবান জানান। সরফরাজ-রমিজদের কথা মিডিয়ার কল্যাণে পৌঁছে গেছে গোটা ক্রিকেট বিশ্বেই। কেউ কেউ তাদের এসব মন্তব্যকে পাগলের প্রলাপ বলে উল্লেখ করেছেন। এবার ভারতের কিংবদন্তি সাবেক অধিনায়ক সুনিল গাভাস্কার ক্ষোভের সঙ্গেই জানালেন, বাংলাদেশকে নিয়ে অনেক হয়েছে, এবার চুপ করুন। তার ইঙ্গিত যে রমিজ-সরফরাজের দিকে সেটা বুঝতে জ্যোতিষী হওয়ার দরকার নেই। কলকাতার আজকাল পত্রিকায় নিয়মিত কলামে গাভাস্কার লিখেন, ‘যারা বলেছিলেন পাকিস্তান এবং ভারতের বিরুদ্ধে বাংলাদেশের জয় ফ্লুক ছিল, তারা এবার নিশ্চয়ই চুপ করে যাবেন, দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজে বাংলাদেশের অসাধারণ জয়ের পর। প্রোটিয়াদের কাছে প্রথম ম্যাচ হেরে গিয়েছিল বাংলাদেশ। কিন্তু পরের দুটি ম্যাচে বলে-ব্যাটে সুপার পারফরম্যান্স করে সহজেই জয় ছিনিয়ে নিয়েছে তারা।’ এরপর তিনি যোগ করেন, ‘যারা বাংলাদেশকে কৃতিত্ব দিতে চাইছেন না, তারা বলার চেষ্টা করবেন এবার তাদের বিদেশে জিতে দেখানো উচিত। যেমন অন্যান্য দেশগুলো বিদেশের মাটিতে নিয়মিত জেতে। ১৯৭০ এর মাঝামাঝি থেকে ১৯৯০ এর মাঝামাঝি পর্যন্ত ওয়েস্ট ইন্ডিজ এবং ১৯৯০ এর মাঝামাঝি সময় থেকে ২০০৫ এর মাঝামাঝি পর্যন্ত অস্ট্রেলিয়া ধারাবাহিকভাবে বিদেশের মাটিতে জয় পেয়েছে। অন্য দলগুলোও বিদেশে জিতেছে কিন্তু এই গ্রেট দুটি দলের মতো নয়। তাই শুধু বাংলাদেশকেই বিদেশের মাটিতে জিততে বলার কোনও মানে নেই।’ বাংলাদেশের তরুণ মুস্তাফিজুর রহমানকে নিয়ে দারুণ আশাবাদি গাভাস্কার। তিনি চান মুস্তাফিজুর এই পারফরম্যান্স অব্যাহত রাখুক। গাভাস্কারের ভাষায়, ‘এবার দেখার আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের দ্বিতীয় পর্বে ও কিভাবে সাড়া দেয়। প্রথম পর্বে মুস্তাফিজুর ছিল অচেনা, ফলে বিপক্ষের জানা সম্ভব ছিল না, কোথায় ওর শক্তি, কোথায় ওর দুর্বলতা। কিন্তু ধীরে ধীরে যখন দ্বিতীয় পর্ব আসে বিপক্ষের কোচ, অধিনায়ক সবাই সময় পেয়ে যায় সেই শক্তি, দুর্বলতার ব্যাপারে খুঁটিয়ে দেখার। আশা করবো তারপরও মুস্তাফিজুর নিজের ফর্ম ধরে রাখবে এবং দেশের হয়ে উইকেট তুলে নেবে।’