সোমবার বিশ্বব্যাংকের ‘বাংলাদেশ ডেভলপমেন্ট আপডেট’ প্রতিবেদনে এই হিসাব তুলে ধরা হয়েছে। অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি এবং মানব উন্নয়ন সূচকের অগ্রগতির কারণে এ হার কমে এসেছে বলে প্রতিবেদনে জানানো হয়। এক্ষেত্রে বাংলাদেশের অর্জন পাশ্ববর্তী ভারত, নেপাল, পাকিস্তান ও ভূটানের চেয়ে ভাল।
এ উপলক্ষে বিশ্বব্যাংক ঢাকা কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে সংস্থার আবাসিক প্রধান অর্থনীতিবিদ জাহিদ হোসেন বাংলাদেশের অর্থনীতির হালনাগাদ প্রতিবেদন তুলে ধরেন। এতে বিশ্বব্যাংকের কান্ট্রি ডিরেক্টর চিমিয়াও ফান বক্তব্য দেন।
জাহিদ হোসেন বলেন, জীবনযাত্রার মানদণ্ডের বিচারে বাংলাদেশের অগ্রগতি এবং অতি দারিদ্রসীমা নির্ধারণে পদ্ধতিগত পরিবর্তন আনায় বাংলাদেশ দারিদ্র বিমোচনে ভাল করেছে। তবে ২০৩০ সালের মধ্যে টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রার (এসডিজি) হিসাব অনুযায়ী দরিদ্র মানুষের সংখ্যা শূন্যে নামিয়ে আনতে জিডিপি প্রবৃিদ্ধি ৮ দশমিক ৮ শতাংশে নিয়ে যেতে হবে। অথবা ৬ দশমিক ১ শতাংশ প্রবৃদ্ধি অব্যাহত রেখে এসডিজি অর্জন সম্ভব যদি প্রবৃদ্ধিকে অধিক অন্তর্ভূক্তিমুলক করা যায়।
উল্লেখ্য, জাতিসংঘ ঘোষিত টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অনুযায়ী ২০৩০ সালের মধ্যে দারিদ্র্যের হার ৩ শতাংশের নিচে নেমে এলে,তাকে শূন্য দারিদ্র বলে হিসাব করা হয়েছে। বিশ্বব্যাংকের হিসাবে ক্রয়ক্ষমতার ভিত্তিতে বাংলাদেশের ১২ দশমিক ৯ শতাংশ মানুষের দৈনিক আয় এখন এক দশমিক ৯০ মার্কিন ডলারের কম।