বাধা উপেক্ষা করে কুমিল্লায় জনস্রোত আসছে: খন্দকার মোশাররফ

ডেস্ক রিপোর্ট:
কুমিল্লায় বিএনপির বিভাগীয় গণসমাবেশের এক দিন আগে শুক্রবার সকাল থেকে মিছিল নিয়ে হাজার হাজার নেতাকর্মী সমাবেশস্থলে জমায়েত হন। তবে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেনের দাবি সরকার দলীয় নেতাকর্মীদের পক্ষ থেকে পথে পথে বাধার সম্মুখীন হচ্ছেন নেতাকর্মীরা। এ বাধা উপেক্ষা করে গণসমাবেশে জনস্রোত আসছে।

শুক্রবার সকাল সাড়ে ১১টায় টাউনহল মাঠে মঞ্চ তৈরির কাজ পরিদর্শনে এসে সাংবাদিকদের কাছে তিনি এ দাবি করেন। খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেন, কোনো অপশক্তি আমাদের নেতাকর্মীদের দমিয়ে রাখতে পারবে না। সকাল থেকে সারা শহরে মিছিল হচ্ছে। নেতাকর্মী ভরে গেছে শহর। সুতরাং কুমিল্লা মহানগরী জনগণের মহানগরীতে পরিণত হয়েছে। তারাই শনিবারের সমাবেশ সফল করবেন। সমাবেশের প্রস্তুতি সম্পর্কে তিনি বলেন, মঞ্চ তৈরির কাজ প্রায় শেষের দিকে। এ ছাড়া সব বিষয়ে সঠিকভাবে তদারকি চলছে।

কুমিল্লা ও আশপাশের জেলা উপজেলার নেতাকর্মীদের ওপর হামলার বিবরণ তুলে ধরে খন্দকার মোশাররফ বলেন, কুমিল্লায় বিএনপির গণসমাবেশকে কেন্দ্র করে সরকারি দল ও পুলিশ নারকীয় তাণ্ডব চালাচ্ছে। তবে তারা যতই নির্যাতন-নিপীড়ন করুক, দমিয়ে রাখতে পারবে না। তিনি বলেন, এই সরকার ভোটচোর সরকার। প্রধানমন্ত্রী যশোরের একটি সমাবেশে বলেছেন, আপনারা ভোট দিয়ে পলাতক নেতাকে ক্ষমতায় আনতে চান? এর মানে সরকারের বিদায়ঘণ্টা বেজে গেছে। এই কথা প্রধানমন্ত্রী নিজেই স্বীকার করে নিয়েছেন।

খন্দকার মোশাররফ বলেন, আপনার দেখেছেন, সমাবেশকে উপলক্ষ করে গোটা কুমিল্লা নগর উৎসবের নগরে পরিণত হয়েছে। এত বাধাবিপত্তির পরও আগের সাতটি সমাবেশ ব্যাপক শান্তিপূর্ণভাবে অনুষ্ঠিত হয়েছে। কথা দিলাম, কুমিল্লার সমাবেশও শান্তিপূর্ণ হবে। তিনি বলেন, সরকারের বিভিন্ন লোকজন বলছেন, খেলা হবে। এটা খেলা নয়, রাজনীতি। এই রাজনীতির মাধ্যমেই আমরা দেশের ভেঙে পড়া অর্থনীতিকে মেরামত করতে চাই।

সংবাদ সম্মেলনে আরও বক্তব্য রাখেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান বরকতউল্লাহ বুলু, কুমিল্লা দক্ষিণ জেলা বিএনপির আহ্বায়ক ও সমাবেশের প্রধান সমন্বয়ক হাজি আমিন-উর-রশিদ ইয়াছিন প্রমুখ। শনিবারের গণসমাবেশে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকার কথা আছে।

Comments (0)
Add Comment