আদালত রায়ে বলেছে, গ্রাহকের আঙুলের ছাপ নিয়ে যে সিম নিবন্ধন করা হচ্ছে তা একটি শক্তিশালী পাসওয়ার্ড দিয়ে সংরক্ষণ করতে হবে, যাতে কোনোভাবে এটি অপব্যবহার করা না হয়। এক্ষেত্রে নির্বাচন কমিশনকে একটি শক্তিশালী পাসওয়ার্ড দিয়ে বায়োমেট্রিক তথ্য সংরক্ষণ করতে বলা হয়েছে। একই সঙ্গে যদি কোনো গ্রাহকের আঙুলের ছাপের অপব্যবহার হয় তাহলে আইন অনুযায়ী কঠোর ব্যবস্থা নেয়ার জন্য সরকারকে নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
২০১৫ সালের ১৩ ডিসেম্বর সার্কুলার জারি করে বলা হয় মোবাইল ফোনের সিম রেজিস্ট্রেশনের ক্ষেত্রে গ্রাহকদের ফিঙ্গার প্রিন্ট (আঙ্গুলের ছাপ) দিতে হবে। আর সার্কুলারের ভিত্তিতে মোবাইল অপারেটরগুলো গ্রাহকদের সিম রেজিস্ট্রেশনের ক্ষেত্রে বায়োমেট্টিক পদ্ধতি অবলম্বন করে আঙ্গুলের ছাপ নেয়া হচ্ছে। সরকারি প্রতিষ্ঠান ব্যতীত তৃতীয় পক্ষের মাধ্যমে এভাবে ফিঙ্গার প্রিন্ট সংগ্রহ করা বেআইনি দাবি করে হাইকোর্টে রিট করেন আইনজীবী এসএম এনামুল হক।
আবেদনে বলা হয়, আমাদের দেশে তথ্য সংরক্ষণের কোন আইন নেই। যতদিন আইন না হচ্ছে ততদিন ফিঙ্গার প্রিন্টের মাধ্যমে সিম রেজিস্ট্রেশনের বিষয়টি তৃতীয় পক্ষের হাতে ছেড়ে দেয়া ঠিক নয়। এতে এই ফিঙ্গার প্রিন্ট অপব্যবহারের আশঙ্কা রয়েছে। আবেদনে বিদেশি একটি জার্নালের তথ্য তুলে ধরা বলা হয় যে, বায়োমেট্রিকের কারণেই বিদেশে ৬৫ ভাগ অপরাধ বৃদ্ধি পেয়েছে। শুনানি নিয়ে হাইকোর্ট গত ১৪ মার্চ রুল জারি করে। রুলে বায়োমেট্রিক পদ্ধতিতে সিম নিবন্ধন কার্যক্রম কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না তা জানতে চাওয়া হয়। আজ রুল নিষ্পত্তি করে রায় দেয় হাইকোর্ট।