সোমবার রাজধানীর সোহরাওয়ার্দীতে বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষ্যে আওয়ামী লীগ আয়োজিত সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, এই সোহরাওয়ার্দীতেই পাকিস্তানী হানাদার বাহিনী আত্মসমর্পন করেছে। এই সোহরাওয়ার্দী উদ্যানেই জাতিকে দিকনির্দেশানামূলক বক্তব্য দিয়েছিলেন বঙ্গবন্ধু।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর এদেশে ১৯টি ক্যু হয়েছে। ২১ টি বছর বাংলাদেশের মানুষ দুর্বিষহ জীবন কাটিয়েছে। স্বাধনীতাবিরোধী শক্তিকে দেশের মন্ত্রী বানানো হয়েছে। উপদেষ্টা বানানো হয়েছে। ২১টি বছর পর দেশের ক্ষমতায় আওয়ামী লীগ সরকার আসে, তখন মানুষ আসল ইতিহাস জানতে পারে।
তিনি বলেন, ‘জেনারেল জিয়া অবৈধভাবে ক্ষমতা দখল করে জাতির জনকের দেওয়া সংবিধান স্থগিত করে দিয়েছিল। মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ধ্বংস করে দিয়েছিল।’
আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ও সংসদ উপনেতা সৈয়দা সাজেদা চৌধুরীর সভাপতিত্বে সোমবার বিকেল পৌনে ৩টার দিকে সোহরাওয়ার্দীতে সমাবেশ শুরু হয়।
আওয়ামী লীগের উপদেষ্টাপরিষদের সদস্য আমির হোসেন আমু, তোফায়েল আহমেদ, সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত, মতিয়া চৌধুরী, শেখ সেলিম, আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম, কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক সিদ্দিকী নাজমুল আলম, যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক হারুনুর রশীদ, স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি মোল্লা মো. আবু কাউসার, কৃষক লীগের সভাপতি মো. মোতাহার হোসেন মোল্লা, শ্রমিক লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি শুক্কুর মাহমুদ, মহিলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আশরাফুন্নেছা মোশাররফ, যুব মহিলা লীগের সভাপতি নাজমা আক্তার বক্তব্য রাখেন।
তারা বিএনপির প্রতি কঠোর হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেন, তাদের সহিংস আন্দোলন প্রতিহত করা হবে। রাজপথে থেকে তাদের মোকাবেলা করা হবে। দেশের মাটিতে বিএনপি-জামায়াতের কোনো সহিংস কার্যক্রম চলতে দেওয়া হবে না বলেও হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেন তারা।