চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরি স্টেডিয়ামে শুরু থেকেই খুলনার ব্যাটসম্যানদের চেপে ধরে কুমিল্লার বোলাররা। তাই নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারাতে থাকে খুলনা। শেষ পর্যন্ত নির্ধারিত ওভারের ৪ বল বাকী থাকতে ১১১ রানে গুটিয়ে যায় তারা।
খুলনার ব্যাটসম্যানদের বেকাদায় ফেলেছেন পাকিস্তানের অফ-স্পিনার শোয়েব মালিক ও পেসার আল-আমিন হোসেন। দু’জনে ৩টি করে উইকেট নিয়েছেন। মালিক খুলনার উপরের সারির এবং আল-আমিন মিডল-অর্ডারের ব্যাটসম্যানদের শিকার করেন।
খুলনার পক্ষে সর্বোচ্চ ২৪ রান করেন আরিফুল হক। এছাড়া ১৬ রান করে করেন দুই টেল-এন্ডার দক্ষিণ আফ্রিকার কাইল অ্যাবট ও শফিউল ইসলাম। খুলনার পক্ষে দু’অংকে পা দেয়া অন্য দুই ব্যাটসম্যান হলেন অধিনায়ক মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ ও ওয়েস্ট ইন্ডিজের ক্রেইগ বার্থওয়েট। রিয়াদ ১৪ ও বার্থওয়েট ১৩ রান করেন।
১১২ রানের লক্ষ্যটা তাড়াতাড়ি স্পর্শ করার পরিকল্পনা ছিলো কুমিল্লার। তাই জবাব দিতে নেমে শুরু থেকেই মারমুখী মেজাজে দলের অধিনায়ক তামিম ইকবাল। তার মারমুখী ব্যাটিং-এ প্রথম ৬ ওভারেই ৫৭ রান পেয়ে যায় কুমিল্লা। এসময় ৪২ রান ছিলো তামিমের। অপরপ্রান্তে আরেক ওপেনার লিটন দাসের রান ছিলো ১৫।
দলীয় ৬৪ রানে অষ্টম ওভারের দ্বিতীয় বলে লিটন আউট হলেও, তিন নম্বরে নামা ইমরুল কায়েসকে নিয়ে ৩৭ বল বাকী থাকতেই দলকে জয়ের বন্দরে নিয়ে যান তামিম। ১২টি চারে ৪২ বলে অপরাজিত ৬৪ রান করেন লোকাল বয় তামিম। ২১ বলে ২২ রানে অপরাজিত ছিলেন ইমরুল। লিটনের ব্যাট থেকে আসে ২১ রান। ৩ উইকেট নিয়ে ম্যাচ সেরা কুমিল্লার মালিক।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
খুলনা টাইটান্স : ১১১/১০, ১৯.২ ওভার (আরিফুল ২৪, অ্যাবট ১৬, মালিক ৩/১৪)।
কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স : ১১২/১, ১৩.৫ ওভার (তামিম ৬৪*, ইমরুল ২২*, অ্যাবট ১/২৭)।
ফল : কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স ৯ উইকেটে জয়ী।
ম্যাচ সেরা : শোয়েব মালিক (কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স)।বাসস।