এয়ার এশিয়ার বিধ্বস্ত বিমানের কো-পাইলট নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলার সময় ক্যাপ্টেন অপ্রচলিত পদ্ধতিতে বিমানটি নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করতে নিজ আসন ছেড়েছিলেন। কিন্তু তিনি ফিরে আসার আগেই কো-পাইলট নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলায় বিমানটিকে আর রক্ষা করার সময় পাওয়া যায়নি। বিমান দুর্ঘটনার কারণ সম্পর্কে কোনো উপসংহারে পৌঁছার সময় এখনও হয়নি, ইন্দোনেশিয়ার কর্মকর্তারা এটি জোর দিয়ে বলার পরও ফ্লাইট কিউজেড৮৫০১’র তদন্তের চূড়ান্ত মুহূর্তগুলোতে আংশিক হলেও বিমানটির রক্ষণাবেক্ষণ, নিয়মসূচি ও প্রশিক্ষণের বিষয়গুলোও খতিয়ে দেখা হচ্ছে। এয়ারবাস কোম্পানির এ৩২০ জেটটি ২৮ ডিসেম্বর ইন্দোনেশিয়ার সুরাবায়া থেকে সিঙ্গাপুর যাওয়ার পথে দুর্ঘটনায় পড়ে জাভা সাগরে বিধ্বস্ত হয়। এতে বিমানের ১৬২ জন আরোহীর সবাই মারা যান। এয়ার এশিয়া জানিয়েছে, ইন্দোনেশিয়ার পরিবহন নিরাপত্তা কমিটি (এনটিএসসি) বিষয়টির তদন্তের দায়িত্বে থাকায় তারা বিষয়টি নিয়ে কোনো মন্তব্য করবে না। গেল সপ্তায় রয়টার্সের প্রতিবেদনে জানানো হয়েছিল, বিমানটির ফ্লাইট আগমেন্টেইশন কম্পিউটার’র (এফএসি) রক্ষণাবেক্ষণ সমস্যা ও পাইলট যেভাবে এটি সমাধান করতে গিয়েছিলেন, তা তদন্তের প্রধান অংশ হয়ে দাঁড়িয়েছে। কম্পিউটারটি সচল করতে না পেরে এটির বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করতে পাইলট একটি সার্কিট-ব্রেকার খুলে ফেলেছিলেন বলে ব্লুমবার্গ নিউজ শুক্রবার জানিয়েছে। এফএসি’র বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করার এই পদক্ষেপটি তদন্তকারীদের বিস্মিত করেছে। কারণ এই কম্পিউটারটি রিসেট করতে ককপিটের ওভারহেড ম্যানুয়েলের একটি বোতাম চাপাই স্বাভাবিক ছিল। আর বিষয়টি এই কারণেও উল্লেখযোগ্য যে, এটি করতে গিয়ে ক্যাপ্টেনকে তার আসন ছেড়ে উঠতে হয়েছে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক এ৩২০ পাইলট বলেছেন, “আপনি এফএসি’কে রিসেট করতে পারেন, কিন্তু এর সব বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেয়া অস্বাভাবিক। অত্যন্ত জরুরি অবস্থা না হলে কেউ সার্কিট ব্রেকার খুলে ফেলবে না। আমি জানিনা এ ধরনের কিছু হয়েছিল কিনা, তবে এটি অত্যন্ত অস্বাভাবিক।”