মেয়র জিক্কিনেলা, যিনি নিজে একজন চিকিৎসক, বলেন, “যারা রোগ প্রতিষেধক ব্যবস্থা না নিয়ে নিজের স্বাস্থ্য তথা আমাদের পুরো গ্রামকে বিপদগ্রস্ত করবে, তাদের বাড়তি কর গুনতে হবে।” গ্রাম পরিষদের ওয়েবসাইটে মেয়রের জারি করা নির্দেশনায় বলা হয়েছে, গ্রামের মধ্যে রোগগ্রস্থ হওয়া “নিষিদ্ধ”।
সেলিয়ায় ১৯৫১ সালে জনসংখ্যা ছিল ১৪০০। তা কমতে কমতে এখন দাঁড়িয়েছে পাঁচশতে, যাদের ৬০ শতাংশই পেনশনার। মেয়র জিক্কিনেলা বলেন, গ্রামের লোকসংখ্যা আরও কমুক, তিনি তা কোনোমতেই চান না। সবধরনের স্বাস্থ্য সুবিধার ব্যবস্থা করেছেন তিনি। তিনি শুধু চাইছেন মানুষ যেন সেগুলোর সুযোগ নেয়।
সুস্থতার জন্য তার এই শক্ত পদক্ষেপ কাজে লাগছে বলে মনে হয়। গত এক মাসে একশর মত লোক স্থানীয় স্বাস্থ্য কেন্দ্রে নানা পরীক্ষা নিরীক্ষা করেছেন। লেখাপড়া এবং কাজের জন্য তরুণ যুবকদের বাড়ি ছাড়ার প্রবণতার জেরে ইটালির গ্রাম এবং ছোট ছোট শহরে জনসংখ্যা কমে যাওয়া নিয়ে স্থানীয় রাজনীতিকরা অনেকদিন ধরেই চিন্তিত।
মানুষজন যাতে শহর না ছাড়ে, সে জন্য সিসিলির গাঙ্গি নামক একটি শহরে পরিত্যক্ত বাড়িগুলোকে বিনা পয়সায় দিয়ে দেওয়া হচ্ছে। সূত্র: বিবিসি।
বাংলাদেশেরপত্র/এডি/পি