গুজরাটে এখনো কোনো শুভ অনুষ্ঠানে কাজকর্ম করার জন্য ডাক পড়ে সধবাদের। বিধবারা সেখানে প্রবেশ করতে পারেন না। এই কুসংস্কারকে পেছনে ফেলে এক দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন গুজরাটের ওই ব্যবসায়ী। শহরে এই চিত্রে পরিবর্তন দেখা গেলেও, গ্রামাঞ্চলে তা কল্পনার বাইরে।
ওই ব্যবসায়ীর নাম জিতেন্দ্র পটেল। জিতু ভাই নামেই সবার কাছে পরিচিত। বুধবার তার ছেলের বিয়েতে তিনি এক নতুন যুগের সূচনা করেছেন। উত্তর গুজরাটের পাঁচ জেলা থেকে ১৮ হাজার বিধবাকে আমন্ত্রণ জানান। শুধু তাই নয়; তাদের পরিবহনের খরচও মেটান তিনি। হিম্মতনগর থেকে ১২ কিলোমিটার দূরে দেরোলে জিতেন্দ্রর বাড়িতে বিশেষ অতিথি হিসেবে আমন্ত্রণ পেয়েছিলেন এই বিধবারা।
ভারতীয় গণমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে, বিয়ের অনুষ্ঠান শেষে প্রত্যেককে কম্বল এবং একটি করে চারাগাছ উপহার দেয়া হয়। হত দরিদ্র পরিবার থেকে আসা ৫০০ জন বিধবাকে একটি করে গরুও দেয়া হয়।
জিতেন্দ্র পটেল বলেন, আমার একান্ত ইচ্ছা ছিল ছেলের জীবনের এই বিশেষ দিনে তাকে সেই সব নারী আশীর্বাদ করুক; যাদেরকে সমাজ দূরে সরিয়ে রেখেছে। আমাদের সমাজে কোনো শুভ কাজে বিধবাদের উপস্থিতি অপয়া বলে মনে করা হয়। আমি এই কুসংস্কার ভাঙতে চেয়েছিলাম।
গুজরাটের মেহসানা জেলার ৫৫ বছর বয়সী বিধবা হানসা ঠাকুর টাইমস অব ইন্ডিয়াকে বলেন, গরু পাওয়ায় এখন থেকে ভালোভাবে চলতে পারবো। আমি কখনো কল্পনা করতে পারি নাই; একজন বিধবা হিসেবে আমাকে এতো গুরুত্ব দেয়া হবে।