গত ৬ এপ্রিল জার্মান ভিত্তিক গণমাধ্যম ডয়েচে ওয়েলেতে এ সংক্রান্ত একটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে। প্রতিবেদনটিতে বিভিন্ন ধরনের কসমেটিকে ব্যবহার্য উপাদানের বিভিন্ন অজানা বিষয় তুলে ধরা হয়।
১. অপরিশোধিত তেল
ক্রিম, লোশন বা সাবান তৈরিতে ব্যবহার করা হয় পেট্রোলিয়াম থেকে তৈরি এক ধরণের উপাদান যার নাম প্যারাফিন। বর্ণ, গন্ধহীন এই উপাদান ত্বকের ওপর একটি আবরণ তৈরি করে ত্বককে মসৃণ করে। কসমেটিকস বা প্রসাধনী উৎপাদন কোম্পানিগুলোর মতে, প্যারাফিন ত্বকের জন্য ক্ষতিকর নয়, তবে বিজ্ঞানীরা বলছেন এর তারতম্যের কারণে ত্বকের ক্ষতি হতে পারে।
২. অ্যালকোহল
বডি লোশন, ক্রিম, আফটার শেভ লোশন, চুলে দেয়ার রং বা মাউথওয়াশ-অনেক কসমেটিকসেই অ্যালকোহল থাকে, অর্থাৎ এসব তৈরির উপাদানে অ্যালকোহল থাকে। শতকরা প্রায় ৯৫ ভাগ ক্ষেত্রেই অ্যালকোহল ব্যবহৃত হয়। অ্যালকোহল ব্যবহার করার ফলে চামড়া বা চুল শুকিয়ে যায়, ফেটেও যায় কখনো কখনো৷ তারপরও এর ব্যবহার থামছেনা।
৩. চিংড়ি, কাঁকড়া বা পোকামাকড়ের খোসা
শ্যাম্পু, টুথপেস্ট ইত্যাদির মতো কসমেটিকসে ব্যবহার করা হয় ‘চিটোসান’ নামের একটি উপাদান, যা কিনা চিংড়ি মাছ, কাঁকড়া এবং কিছু পোকামাকড়ের খোসা থেকে তৈরি হয়।
৪. কোষের যৌবন ধরে রাখতে শুক্রাণু
ত্বকের কোষকে দীর্ঘদিন বাঁচিয়ে রাখতে যেসব অ্যান্টি-এজিং কসমেটিকস ব্যবহার করা হয় তা তৈরি করা হয় বিভিন্ন প্রাণীর স্পার্ম (বীর্য) থেকে।
৫. মাছের আঁশ
ঠোঁট আর্দ্র রাখতে আমরা যে ‘লিপ গ্লস’ ব্যবহার করি তা তৈরি করতে বেশ কিছু জিনিসের দরকার হয়৷ মাছের আঁশ না হলে লিপ গ্লস তৈরি করা অসম্ভব।
৬. প্রাণীর চর্বি
প্রাণীর চর্বি প্রায় সব ধরণের কসমেটিকস তৈরিতেই ব্যবহার করতে হয়৷ বিশেষ করে সাবান তৈরির কথা তো চর্বি ছাড়া ভাবাই যায়না।
৭. অ্যালুমিনিয়াম
অনেক সময়ই পারফিউম বা ডিওডোরেন্টের ক্যান তৈরি হয় অ্যালুমিনিয়াম দিয়ে৷ এর কারণে ত্বকে জ্বালাপোড়া হয়, অন্য কিছু সমস্যাও দেখা দেয়।
বাংলাদেশেরপত্র/এডি/পি