চলতি ২০১৪-১৫ অর্থবছরের প্রথম পাঁচ মাসে দেশের সর্ববৃহৎ স্থলবন্দর বেনাপোল কাস্টমস হাউসে লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে বেশি রাজস্ব আদায় হয়েছে বলে জানিয়েছে বন্দরটির কর্তৃপক্ষ। ৯৫১ কোটি ৯৮ লাখ টাকা লক্ষ্যমাত্রার বিপরীতে উল্লিখিত সময়ে আদায়কৃত রাজস্বের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ১ হাজার ১৩ কোটি ১২ লাখ টাকা, যা লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ৬১ কোটি ১৪ লাখ টাকা বেশি। এছাড়াও উক্ত পরিমাণ রাজস্ব গত অর্থবছরের সমান সময়ের তুলনায় ৮৬ কোটি ৭৪ লাখ টাকা বেশি।
কাস্টমস সূত্রে জানা যায়, চলতি অর্থবছরের জুলাই মাসে রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ১৯৩ কোটি ৭২ লাখ টাকা, আদায় হয়েছে ১৯৪ কোটি ২৭ লাখ টাকা। গত আগস্ট মাসে এ লক্ষ্যমাত্রা ছিল ১৯৭ কোটি ৮০ লাখ টাকা, রাজস্ব আয় হয়েছে ২০১ কোটি ৮৫ লাখ টাকা। সেপ্টেম্বর মাসে নির্ধারিত রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ২২৭ কোটি ৬১ লাখ টাকা, আদায় হয়েছে ২৩৬ কোটি ৮১ লাখ টাকা। অক্টোবর মাসে লক্ষ্যমাত্রা ছিল ১৬৫ কোটি ৭৪ লাখ টাকা, আদায় হয়েছে ১৬৪ কোটি ৪৬ লাখ টাকা এবং নভেম্বর মাসে লক্ষ্যমাত্রা ছিল ১৬৭ কোটি ৬৬ লাখ টাকা এস্থলেও রাজস্ব আয় বেড়ে হয়েছে ২১৫ কোটি ৭৩ লাখ টাকা।
এদিকে গত অর্থবছরের রেকর্ড থেকে জানা যায়, ২০১৩-১৪ অর্থবছরের জুলাই মাসে রাজস্ব আদায়ে লক্ষ্যমাত্রা ছিল ২৮৩ কোটি ১৬ লাখ টাকা, আদায় হয়েছে ২৪০ কোটি ৮০ লাখ টাকা। আগস্টে লক্ষ্যমাত্রা ছিল ১৯৩ কোটি ৪৫ লাখ টাকা, আদায় হয়েছে ১৩৬ কোটি ৮৩ লাখ টাকা। সেপ্টেম্বরে ১৯৩ কোটি ১৬ লাখ টাকার লক্ষ্যমাত্রার বিপরীতে আদায় হয়েছে ২১৯ কোটি ৩০ লাখ টাকা। অক্টোবরে লক্ষ্যমাত্রা ছিল ১৯৮ কোটি ৩৩ লাখ টাকা। আদায় হয়েছে ১৬৮ কোটি ৫ লাখ টাকা। নভেম্বরে ১৯৭ কোটি ৯০ লাখ টাকার বিপরীতে আদায় হয়েছে ১৬১ কোটি ৪০ লাখ টাকা।
বেনাপোল সিএ্যান্ডএফ এজেন্ট এ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি আলহাজ্ব মফিজুর রহমান সুজন বলেন, বন্দরের অবকাঠামোগত উন্নয়ন ও পর্যাপ্ত ক্রেন, ফর্কলিফট সংযোজনের পাশাপাশি সংশ্লিষ্টদের দীর্ঘদিনের দাবিকৃত ক্লিয়ারিং হাউস চালু হলে রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা আরও কয়েকগুণ বৃদ্ধি পাবে। বর্তমানে এই বন্দর দিয়ে উচ্চশুল্কের পণ্য আমদানি বেশি হওয়ায় রাজস্ব আদায় বেশি হয়েছে বলেও এ সময় মতামত দেন তিনি। তিনি আরও জানান, গত কয়েক বছর যাবৎ এই বন্দর দিয়ে অনেক পণ্য আমদানি-রফতানি বন্ধ থাকলেও বর্তমানে আমদানির পরিমাণ ক্রমেই বাড়ছে।
বেনাপোল বন্দরের কাস্টম কমিশনার মো. মাহবুবুজ্জামান জানান, রাজস্ব আদায়ে বেনাপোল কাস্টমস হাউসে কর্মরত কর্মকর্তা-কর্মচারিসহ সিএন্ডএফ এজেন্টরা সজাগ ও আপ্রাণ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। চলতি অর্থবছরের শুরু থেকে রাজস্ব আদায় বেড়ে চলেছে। বছরের অবশিষ্ট সময়ে আমদানি-রপ্তানীর এ ধারা অব্যাহত থাকলে রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা দ্বিগুণ হতে পারে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি।