বেনাপোল পৌরসভার বাজেট ২০১৬-১৭ অর্থবছরে পৌরমেয়র আশরাফুল আলম লিটনের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথী হিসাবে উপস্থিথ ছিলেন যশোর জেলা প্রশাশক ড. হুমায়ুন কবির, বিশেষ অতিথী হিসাবে উপস্থিত ছিলেন বেনাপোল স্থল বন্দরের পরিচালক নিতাই চন্দ্র সেন, শার্শা উপজেলা নির্বাহী অফিসার আব্দুস সালাম বেনাপোল পোর্ট থানা ইনচার্জ অপুর্ব হাসান প্রমুখ।
২০১৬-১৭ অর্থ বছরের ৮২ কোটি ৯ লাখ ৪০ হাজার ১৬ টাকার বাজেট ঘোষনা করেন বেনাপোল পৌরমেয়র আশরাফুল আলম লিটন। বেনাপোল পৌরমেয়র বলেন বর্তমানে পৌরসভার আর্থিক অস্বচ্ছলতা কর্মকান্ডে স্থবিরতা কাটিয়ে বেনাপোল পৌরবাসিকে নুন্যতম নাগিরিক সুবিধা প্রদানের জন্য বিছু আয়বর্ধক উন্নয়ন মুলক প্রকল্পের কার্যক্রম এ বাজেটে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।এ ছাড়া পৌরসভার সার্বিক ব্যাবস্থাপনার উন্নয়নের জন্য পৌরসভার কর্মকর্তা কর্মচারিদের দক্ষতা বাড়ানো সামগ্রিক কার্যক্রমে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা প্রতিষ্ঠার মাধ্যেমে জনগনের সত্যিকারের প্রতিষ্ঠান রুপান্তরিত করার নিরলস প্রচেষ্টার জন্য পৌরপরিষদ দৃড় সংকল্পব্ধ।
তিনি আর্াে বলেন আমাদের সকলেরর ধারনা উন্নয়ন বলতে রাস্তাঘাট ফুটপাত ড্রেন লাইটিং ইত্যাদি। আসলে উন্নয়ন বলতে আমাদের সকলের বোঝা উচিৎ আমাদের সন্তানদেরকে সম্পদে রুপান্তর করা। প্রতিটি পিতা মাতা তার সন্তানের প্রতি যতœবান হতে হবে। এবং কোন সন্তান যাতে মাদক ছিনাতই রাহাজানির মধ্য জড়িয়ে না পড়ে তার জন্য বেনাপোল পৌরসভা আগামি প্রজন্মকে রক্ষা করতে এবং সম্পদে রুপান্তরিত করার জন্য পৌর স্পোর্টস কর্নার চালু করেছে।এ কর্নারের মাধ্যেমে শিশুদের খেলা ধুলা উদ্ভুদ্ধ করা সহ সকল প্রকার খেলা ধুলার উপকরন প্রদান করছে।এ স্পোর্টস কর্নাারে আওতায় ৯ টি ওয়ার্ডে ২ টি করে সিনিয়র ও জুনিয়র মোট ১৮ টি ক্লাব অন্তর্রুক্ত করা হয়েছে।
এছাড়া বেনাপোল পোৗর সভার পৌর এ্যাডুকেশন এর মধ্যে অসহায় ঝরে পড়া শিক্ষা বাঞ্চিত পথশিশুদের শিক্ষা উপকরন ও আর্থিক সহযোগিতা প্রদান করে তাদেরকে সম্পদে রুপান্তর করতে বেনাপোল পৌরসভা নিললস কাজ করে যাচ্ছে।
অসহায় দুস্থ নারীদের হাতের কাজ ও সেলাই মেশিনের প্রশিক্ষনের ব্যাবস্থা করে গ্রামীন অর্থনিতী উন্নয়ন এবং নারীর সামাজিক সম্মান ও মর্যদা রাখার সহায়তা করছে। এবং বেনাপোল পৌরসভা ৬০ উর্দ্ধ সিনিয়র নাগরিক বয়সের ভারে সমাজ সংসারে অসহায় হয়ে পড়ায় চিকিৎসা ভার কেউ দিতে চায় না। তাদের বিনা মুল্যে চিকিৎসা প্রদানের জন্য বেনাপোল পোৗরসভায় আধুনিক এ্যাম্বুলেন্স এবং একটি হেলথ সেন্টার করা হয়েছে। সেখানে ৪ জন ডাক্তর রাখা হয়েছে তার ভিতর ১ জন গাইনি বিশেষজ্ঞ রাখা হয়েছে।
সর্বোশেষে তিনি সকলের সুস্বাস্থ্য কামনা এবং বেনাপোল পৌরসভার আরো উন্নতি করতে সকলের সহযোগিতা কামনা করে তিনি তার বক্তব্য শেষ করেন।