এদিকে ভাংচুরের ঘটনায় নিরাপত্তা চেয়ে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কাছে আবেদন জানিয়ে চিঠি দিয়েছে ভুক্তভোগী ওই শিক্ষক।
চিঠি সূত্র ও খোঁজ নিয়ে জানা যায়, মঙ্গলবার সকাল ১১ ঘটিকায় সাব্বীর আহমেদ চৌধুরী বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক ভবন-৩ এর ২য় তলায় অবস্থিত তাঁর ব্যক্তিগত অফিস কক্ষের সামনে গেলে নিজ নাম সম্বলিত নেইমপ্লেটটি ভাঙ্গা ও দোমড়ানো অবস্থায় মেঝেতে পড়ে থাকতে দেখেন যাতে নামের আদ্যংশ কালো মার্কার দিয়ে কেটে দেয়া হয়েছে।
তিনি চিঠিতে অভিযোগ করেন, গত সোমবার ১৫ই আগস্ট জাতীয় শোক দিবস এর আলোচনা সভায় ’নীল দল’ বেরোবি ক্যাম্পাসে মৌলবাদী রাজনীতি নিষিদ্ধ করার দাবী উত্থাপন করে এবং বঙ্গবন্ধুর হত্যাকান্ডের সাথে জড়িত ফাঁসির দন্ডপ্রাপ্ত পলাতক আসামীদের দেশে ফিরিয়ে এনে অবিলম্বে ফাঁসির রায় সম্পূর্র্ণ করার দাবী জানায়। যেহেতু তিনি এই দাবীতে অগ্রভাগে অবস্থান করছেন তারই প্রেক্ষিতে এই ভাংচুর চালানো হতে পারে বলে তিনি দাবী করেন।
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক তাবিউর রহমান প্রধান বলেন, বিষয়টি নিয়ে আমরা উদ্বিগ্ন , আমরা এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন এর দায়ভার এড়াতে পারেনা। আগামী বৃহস্পতিবার শিক্ষক সমিতির সাধারণ সভায় এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।
ভাংচুরের ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ( চলতি দায়িত্ব) শাহীনুর রহমান বলেন, নিরাপত্তা শাখা, পুলিশ প্রশাসন ও মাননীয় উপাচার্যের সাথে কথা বলে পরবর্তী পদক্ষেপ গ্রহন করা হবে।
এদিকে বিষয়টি নিয়ে তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে দুস্কৃতিকারীদের চিহ্নিত করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবী জানিয়ে বুধবার সকাল ক্যাম্পাসে ১১ টায় মানববন্ধন কর্মসুচীর ডাক দিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় নীল দল।