আশিক মাহমুদ রুসেল, গলাচিপা: টানা কয় দিনের বৃষ্টি আর উজান থেকে নেমে আসা পানির স্রোতে হাড়িয়ে যেতে বসেছে দক্ষিন অঞ্চলের পটুয়াখালী জেলার গলাচিপা উপজেলার অধিক ফসলের সম্ভাবনাময় চরকাজল ইউনিয়ন। সরজমিন জানা যায়, প্রায় ১৯ হাজার ভোটার নিয়ে ৯ টি ওর্য়াডে বিভক্ত হয়ে বুরোগৌরাঙ্গ ও আগুমূখা নদী বেষ্টনির মাঝে দাড়িয়ে আছে চরকাজল ইউনিয়ন। এর মাঝে ১ ও ২ নম্বর ওর্য়াডে আবাদি জমি ও জনবসতি ঘড়-বাড়ি প্রবল স্রোতে নদী গর্ভে হারিয়ে গেছে। যার কারনে খোলা আকাশের নিচে হিংস্র নদীর পারেই হুমকির মাঝে বসবাস করছে ১ও ২ নং ওয়ার্ডের স্থায়ি ইউনিয়ন বাসি।
এ সকল ক্ষতিগ্রস্থ পরিবারদের সাথে কথা বলে জানা যায়, ছোট ছোট শিশু ও বয়স্কদের নিয়ে বিশুদ্ধ পানি ও খাবারের অভাবে মানবেতর জীবন যাপন করে রোদ-বৃষ্টি ও ঝরের মাঝেই দিন আর রাত কাটাচ্ছেন বলে চরকাজল মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক মোঃ হারুন হোসেন খাঁন।
চরকাজল ইউনিয়ন আ.লীগের সাধারন সম্পাদক মোঃ মজিবুর রহমান মজিব, ১ নং ওয়ার্ডের আওয়ামীলীগের সভাপতি মোঃ মিল্টন হাওলাদার, নব-নির্বাচিত ইউপি সদস্য মোঃ জাকির হোসেন পালোয়ান, স্থানিয় আদি বাসি মোশারেফ হোসেন হাওলাদার সহ বিভিন্ন শ্রেনী পেশার জন সাধারন জানান, নদী ভাংঙ্গনে বেশ কিছু টিউবওয়েল নদীর গর্ভে চলে যাওয়ার কারনে বিশুদ্ধ পানির অভাব দেখা দিয়েছে। যার দরুন নদীর পানি পান করে জীবন বাচাঁতে হচ্ছে। ফলে দেখা দিয়েছে নানান রোগ। এমতাবস্থায় সরকার ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠান এগিয়ে আসার অনুরোধ জানান।
এ ব্যাপারে চরকাজল ইউনিয়নের চেয়ারম্যান সাঈদুর রহমান রুবেল অবহেলীত চরকাজলের জনসাধারনের পাশে থাকার সরকারের পাশা পাশি বে-সরকারি প্রতিষ্ঠানকে এগিয়ে আসার অনুরোধ জানান।
গলাচিপা উপজেলার নির্বাহী অফিসার আবদুল্লা আল বাকী’র সাথে কথা হলে তিনি সরকারি সর্বদিক সহযোগিতা করার আশ্বাস দেন।