সুনীলের বাড়ির উঠোনে তার পরিবারের সদস্য, স্থানীয় খ্রিস্টান নেতৃবৃন্দ ও সাংবাদিকদের উদ্দেশ্য করে প্রতিমন্ত্রী বলেন, এই ঘটনার জন্য প্রধানমন্ত্রী অত্যান্ত মর্মাহত। প্রধানমন্ত্রীর প্রতিনিধি হিসেবে তিনি নিহতের পরিবারের প্রতি সমবেদনা প্রকাশের জন্য এসেছেন। মন্ত্রী আরও বলেন, একটি বিশেষ শ্রেণী গুপ্ত হত্যা চালিয়ে দেশের মধ্যে অরাজকতা সৃষ্টি করার চেষ্টা চালাচ্ছে। আপনারা কেউ ভয় পাবেন না। এই সব দুস্কৃতিকারীদের ব্যাপারে সরকারকে তথ্য দিয়ে সহায়তা করুন। মন্ত্রী এসময় সুনীল হত্যাকারীদের শাস্তি না হওয়া পর্যন্ত এই ধর্মপল্লীতে নিরাপত্তা প্রদানের জন্য পুলিশের বিশেষ টহল থাকবে বলেও জানান। মন্ত্রীর বক্তব্যের আগে স্থানীয় সংসদ সদস্য অধ্যাপক আব্দুল কুদ্দুস উপস্থিত সকলের উদ্দেশ্যে বলেন, সুনীল হত্যা মামলার তদন্তে কোন শৈতল্যতা মেনে নেয়া হবে না। রাষ্ট্রকে অস্থিতিশীল করতে যারা উঠে-পড়ে লেগেছে তাদেরকে কোনভাবে ছাড় দেয়া হবে না।
প্রতিমন্ত্রী সুনীলের বাড়ি থেকে বের হওয়ার পরপরই সেখানে সংসদ সদস্য শফিকুল ইসলাম শিমুল উপস্থিত হয়ে সুনীলের স্ত্রী, কণ্যা, জামাতা ও পরিবারের অন্যান্য সদস্যদের সাথে কথা বলেন। তিনি এসময় সকলের উদ্দেশ্যে বলেন, সুনীল হত্যাকারীদের খুঁজে বের করতে যদি কোন প্রতিবন্ধকতা বা ভয় থাকে তবে সে পরিস্থিতি মোকাবেলার জন্য তিনি নিজে প্রস্তুত আছেন। যে কোন উপায়ে হোক এই জঘন্য হত্যাকান্ডের বিচার এ দেশের মাটিতে হতেই হবে বলে তিনি জানান। সংসদ সদস্য এই সময় তার ব্যাক্তিগত তহবিল থেকে ৫০ হাজার টাকা সুনীলের স্ত্রী জাসিন্তার হাতে তুলে দেন।
মন্ত্রী ও অন্যান্য এমপি’র সাথে এসময় উপস্থিত ছিলেন নাটোরের জেলা প্রশাসক মো. খলিলুর রহমান, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মুন্সী শাহাবুদ্দীন, বড়াইগ্রামের ইউএনও মো. রুহুল আমিন, ওসি মো. মনিরুল ইসলাম, নাটোর পৌর মেয়র উমা চৌধুরী জলি, বনপাড়া পৌর মেয়র কেএম জাকির হোসেন, হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিষ্টান ঐক্য পরিষদ নাটোর জেলার সভাপতি চিত্ত রঞ্জন সাহা, জেলা যুবলীগের সভাপতি বাসিরুর রহমান চৌধুরী, বড়াইগ্রাম উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি আব্দুল জলিল প্রামাণিক, জয়বাংলা সামাজিক আন্দোলনের কেন্দ্রীয় সভাপতি ডা. সিদ্দীকুর রহমান পাটোয়ারী, বনপাড়া খ্রিষ্টান পল্লীর পাল-পুরোহিত ফাদার বিকাশ হিউবার্ট রিবেরু, সহ-সভাপতি বেনেডিক্ট গোমেজ, নাটোর জেলার আওয়ামীলীগের বিভিন্ন স্তরের নেতৃবৃন্দ ও স্থানীয় খ্রিস্টান সম্প্রদায়ের অন্যান্য নেতৃবৃন্দ।