ফরিদপুর জেলার ভাঙ্গা উপজেলার হামেরদী ইউনিয়নের মুনসুরাবাদ বাজারে সোমবার সকালে ক্রিকেট খেলাকে কেন্দ্র করে ৪ গ্রামবাসির মধ্যে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ হয়েছে।এ সংঘর্ষে ৫০ জন আহত হয়েছে। আহতদের ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে,ভাঙ্গা হাসপাতালে ও মুনসুরাবাদ হাসিনা এমদাদ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
জানা যায়, মুনসুরাবাদ হাইস্কুল মাঠে ক্রিকেট খেলাকে কেন্দ্র করে রোববার সন্ধ্যায় উক্ত বাজারে দুলাল সাহার মিষ্টির দোকানে বিজয়ী ও পরাজিত দলের মাঝে মারামারি হয়। সে সময় আশরাফুল ও রবিউল নামের দুই জন আহত হয়। পরদিন সোমবার সকালে বাজার চলাকালে মুনসুরাবাদ গ্রামবাসির বিপক্ষে মাঝিকান্দা, সিংগারডাক ও খাপুরা গ্রামের প্রায় এক হাজার গ্রামবাসি দেশীয় অস্ত্র ঢাল, সোরকী, কালী, কাতরা, ইট-পাটকেল নিয়ে মারামারির স্লোগান দিয়ে আসতে থাকে।এ অবস্থায় মুনসুরাবাদ গ্রামের লোকও মারামারির প্রস্তুতি নেয়। ফলে সোমবার ১০টার দিকে শুরু হয় রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ । খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌছে লাঠিচার্জ করে ও ৮ রাউন্ড গুলি বর্ষন করে। পরিস্থিতি বেগতিক দেখে জেলা সদর থেকে র্যাব ঘটনাস্থলে পৌছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনে। সংঘর্ষ চলাকালে মুনসুরাবাদ বাজারের ১০টির অধিক দোকান ব্যাপক ভাংচুর করে মালামাল লুটের ঘটনা ঘটে। গ্রামবাসির দেশীয় অস্ত্রের আঘাতে ৫০ জন আহত হয়। আহতরা হলো মিরাজ সিকদার, সুজন মিয়া, সহিদুল মাতুব্বর, আবু জাফর সেক, রয়েল মাতুব্বর, রহিম মাতুব্বর, আসলাম মুন্সি, মিলন সিকদার, ওলিউর রহমান, মিঠুন, মকিব মুন্সি, শাহাদাৎ হোসেন, মুনির রহমান, খায়ের সেক, ইকরাম মাতুব্বর, সাঈদুর রহমান, ফরিদ সেক, সিদ্দিক সেক। আহতদের ভাঙ্গা হাসপাতাল, হাসিনা এমদাদ হাসপাতাল ও গুরুত্ব আহত ৫ জনকে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। পুলিশ সংঘর্ষে লিপ্ত থাকায় ঘটনাস্থল থেকে করম আলী নামের এক যুবককে আটক করেছে।
এ ব্যাপারে ভাঙ্গা থানার উপ-পরিদর্শক শাখাওয়াত হোসেন জানান পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনতে পুলিশ লাঠি চার্জ ও ৮ রাউন্ড ফাকা গুলি বর্ষন করেছে। এলাকায় বর্তমানে থমথমে ভাব বিরাজ করছে। পরিস্থিতি শান্ত রাখতে উক্ত এলাকায় পুলিশ মোতায়েন রাখা হয়েছে। র্যাবও ঘটনাস্থল টহল দিচ্ছে। এখন পর্যন্ত থানায় কোন মামলা হয় নাই।