ফরিদপুরের ভাঙ্গা উপজেলার পৌর বাজারের ব্যবসায়ী বিকাশ সাহার হত্যার জট খুলেছে। মঙ্গলবার সন্ধায় হত্যাকারী ৪ আসামিকে আটক করেছে পুলিশ। আসামীদের দেয়া তথ্যমতে বিকাশ সাহার ব্যবহিৃত মোবাইল সেট ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার করেছে। বুধবার আসামীরা আদালতে ১৬৪ জবান বন্দীতে হত্যার কথা স্বীকার করেছে।
পুলিশ ও এলাকাবাসী সূত্রে জানাযায়,আসামী পৌরসভার চৌধুরীকান্দা গ্রামের বাকী শেখের ছেলে আলামীন(১৯),তৈয়াব মুন্সির ছেলে স্বপন মুন্সি(২৪),হায়দার শেখের ছেলে নাহিদ শেখ(২২) ও ওহাব শেখের ছেলে আয়নাল শেখ(২৪) এরা নিশার টাকার জন্য মাঝে মাঝে ছিনতাই করার জন্য পরিকল্পনা করে। ঐ দিন রাত একটু বেশী হলে ঘাতকরা বাড়ীর সামনে অবস্থান নেয়। প্রথমে এরা বিকাশকে মারধর করে কোমরে গচ্ছিত দশ হাজার টাকা হাতিয়ে নেয়। এরপর ওদের চিনে ফেলায় আসামীরা সিদ্ধান্ত পাল্টিয়ে হত্যাকান্ড ঘটায়। আসামী স্বপন গলাটিপে ধরে,আলামীন বুকের উপর বসে,নাহিদ ও আয়নাল হাত পা ধরে রাখে এভাবেই এরা হত্যার কথা পুলিশের নিকট স্বীকার করে এবং আদালতে এরা ওয়ান ছিক্সটি ফোরে জবান বন্দিও দেয়।
এই ঘটনায় পুলিশ আরও জানায় এই চার আসামী নিশার টাকার জন্য ২০১২ সালে উপজেলার কাপুড়িয়া সদরদী গ্রামের সাইদুল নামের এক অটো চালককে এভাবেই শ্বাসরুদ্ধ করে হত্যা করে অটো নিয়ে ২০ হাজার টাকা বিক্রি করে। এরা ঐ হত্যাকান্ডের চার্জশীট ভুক্ত আসামী।
এ বিষয়ে ভাঙ্গা থানার চৌকস অফিসার এসআই মিরাজ বলেন,বিকাশ হত্যার পর থেকে অটো চালক হত্যার আসামীরা এলাকা থেকে গাঁঢাকা দেয়। এরপর থেকে ওদের খুজতে থাকি। মঙ্গলবার আসামীরা এলাকায় আসলে গোপনে ্ওদের গ্রেফতার করি। একে একে হত্যার কথা স্বীকার করে।
এ বিষয়ে বিকাশের স্ত্রী স্বপ্না রানী বলেন,আমার স্বামী হত্যার আসামীদের ফাসি চাই।
উল্লেখ্য ভাঙ্গা থানার সামনে মুদি ব্যবসায়ী বিকাশ সাহা গত ৩০ শে মার্চ রাত ১০টার দিকে দোকান বন্ধ করে বাড়ী ফেরার পথে বাশ বাগানে নিয়ে শ্বাসরোদ্ধে হত্যা করে। নিহতের বড় ভাই উত্তম কুমার সাহা বাদী হয়ে অজ্ঞাত নামে একটি হত্যা মামলা করেন। মামলার তদন্তকারী অফিসার হিসাবে প্রথমে দায়িত্বে ছিলেন এসআই মিজানুর রহমান।মামলার কুলকিনারা না পেলে পরে ফরিদপুরের পুলিশ সুপার সুভাষ চন্দ্র সাহা নিহত বিকাশের বাড়ী প্রদর্শন করে ২য় বার মামলার দায়িত্ব দেন ভাঙ্গা থানার সেকেন্ড অফিসার এসআই মিরাজকে এবং তদন্তকারী হিসাবে দায়িত্ব দেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ভাঙ্গা সার্কেল) গাজী রবিউল ইসলামকে। হত্যার ২৬ দিনে মামলার জট খুলতে সক্ষম হয়েছে পুলিশ।