তবে বিবিসি বাংলাসহ ভারতের বিভিন্ন গণমাধ্যম সুত্রে জানা গেছে, বিএসএফ’র আধিকারী সিপি ত্রিবেদীর নেতৃত্বে ৫ সদস্যের বিচারিক প্যানেল বিচারিক কার্যক্রম শুরু করেন। কিন্তু বিএসএফ’র বিশেষ আদালতের সহকারী প্রসিকিউটর অসুস্থ থাকায় বিচারিক কাজ একদিনের জন্য মুলতবি ঘোষনা করা হয় বলে ভারতীয় গণমাধ্যম সুত্রে জানা গেছে।
এর আগে ২০১৪ সালের ২২ নভেম্বর আদালতে বিচারিক কাজ চলার সময় অভিযুক্ত অমিয় ঘোষ অসুস্থ হয়ে পড়ায় ৪ মাসের জন্য বিচারিক কার্যক্রম মুলতবি করা হয়। আদালতের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ২০১৫ সালের ২৫ মার্চ পুনরায় এ বিচারিক কার্যক্রম শুরু হয়।
কুড়িগ্রাম ৪৫ বিজিবি পরিচালক লেঃ কর্ণেল মোঃ জাকির হোসেন জানান, ভারতে বিএসএফ’র বিশেষ আদালতে ফেলানী হত্যা মামলার পুণঃ বিচারিক কার্যক্রম শুরু হওয়ার কথা নিশ্চিত করলেও আদালত মুলতবি হওয়ার বিষয়টি এখনো নিশ্চিত হতে পারেননি বলেও জানান তিনি।
উল্লেখ্য ২০১৩ সালের ৬ সেপ্টেম্বর অভিযুক্ত বিএসএফ সদস্য অমিয় ঘোষকে বেকসুর খালাস দেয় ভারতের কোচবিহারের বিএসএফ’র বিশেষ আদালত। পরে বিজিবি-বিএসএফ’র দ্বি-পাক্ষিক বৈঠকে ফেলানী হত্যার পুনঃ বিচারের সীদ্ধান্ত হয়। সে অনুযায়ী ২০১৪ সালের ২২ সেপ্টেম্বর পুনঃবিচার শুরু করে বিএসএফ। ২০১৪ সালের ১৭ নভেম্বর ফেলানীর বাবা নুর ইসলাম আদালতে অমিয় ঘোষকে অভিযুক্ত করে পুনরায় স্বাক্ষ্য প্রদান করে অমিয় ঘোষের সর্বোচ্চ শাস্তি দাবী করেন।
২০১১ সালের ৭ জানুয়ারী কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ী উপজেলার অনন্তপুর সীমান্তে কাটাতারের বেড়া পাড় হওয়ার সময় বিএসএফ’র গুলিতে নির্মমভাবে প্রান হারায় কিশোরী ফেলানী। এ হত্যাকান্ডে দেশ-বিদেশের গণমাধ্যমসহ মনবাধিকার কর্মীদের মাঝে সমালোচনার ঝর উঠলে ২০১৩ সালের ১৩ আগষ্ট বিএসএফ’র বিশেষ আদালতে ফেলানী হত্যার বিচার কাজ শুরু হয়।