বিক্ষোভ মিছিলটি বেলা এগারোটায় ক্যাম্পাসের পুলিশ ফাঁড়ির সামনে শুরু হয়। বিশ্ববিদ্যালয় সংলগ্ন পার্কের মোড় প্রদক্ষিণ করে রংপুর কারমাইকেল কলেজের নিকটস্থ লালবাগ বাজারের কাছে এক পথসভা করে। এরপর মিছিলটি রংপুরের শাপলা চত্বরে গিয়ে আবার সভা করে এবং রংপুর প্রেস ক্লাবের সামনে গিয়ে সর্বশেষ সভাটি করে।
সভায় বক্তব্য রাখেন সিএসই বিভাগের শিক্ষার্থী মো. রাকিবুজ্জামান, মো. আসাদুজ্জামান রুবেল, ইয়াসির আরাফাত, আসিফ, গণিত বিভাগের শিক্ষার্থী উৎপল কুমার মোহন্ত, পার্থ প্রতিম রায়সহ আরও অনেক। বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশে শিক্ষার্থীদের দাবি নিয়ে কথা বলা হয়। এছাড়াও দাবি পূরণে ব্যার্থ হওয়ায় এবং শিক্ষক শিক্ষার্থীদের উপর হামলার জন্য তারা উপাচার্যের পদত্যাগ দাবি করেন।
শিক্ষার্থীরা বলেন, উপাচার্য এই বিশ্ববিদ্যালয়ে থাকার নৈতিক অধিকার হারিয়েছেন। অনশনরত সাধারণ শিক্ষার্থীদের উপর রাতের অন্ধকারে উপাচার্য তার লেলিয়ে দেয়া সন্ত্রাসীদের দ্বারা হামলা করিয়ে নেন। হামলার সময় প্রোক্টর ও পুলিশ উভয়ই উপস্থিত ছিল। এছাড়াও পরবর্তীতে প্রোক্টর বাদি হয়ে সাধারণ শিক্ষক-শিক্ষার্থীর নামে এক মিথ্যা মামলা দায়ের করেন। যে উপাচার্য তার শিক্ষক-শিক্ষার্থীর উপর হামলা করিয়ে নেয় তাকে এই বিশ্ববিদ্যালয় ত্যাগ করতে হবে। তাছাড়া সাধারণ শিক্ষার্থীরা দীর্ঘদিন থেকে তাদের মৌলিক দাবি হল,ক্যাফেটেরিয়া,মসজিদ,মস্টার্স ক্লাস, শিক্ষক-সঙ্কট, সেশনজট নিরসন,লাইব্রেরী সেমিনার, ল্যাব প্রভৃতির কথা বললেও তিনি তা সক্ষমতা থাকা সত্ত্বেও পূরণ করেননি। এছাড়াও সর্বশেষে ভর্তি পরীক্ষা আটকে দিয়ে তিনি অন্যদের উপর দোষ চাপিয়ে নিজের দায়টুকু এড়িয়ে যেতে চাচ্ছেন। শিক্ষার্থীদের ভবিষ্যৎ নিয়ে উপাচার্যকে আর ছিনিমিনি খেলতে দেয়া হবে না বলেও হুশিয়ার করে দেন সাধারণ শিক্ষার্থীরা। এছাড়াও বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি মহল উপাচার্যের নীল নকশা বাস্তবায়নে কাজ করে যাচ্ছেন বলে সাধারণ শিক্ষার্থীরা অভিযোগ করে।
সাধারণ শিক্ষার্থীরা প্রোক্টরের বিচার এবং উপাচার্যের অপসারণ দাবি করে বিক্ষোভ মিছিল ও পথসভা শেষ করেন। এরপর আগামীকাল ১২ ফেব্রুয়ারির কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়। সাধারণ শিক্ষার্থীরা ঐ দিন ক্যাম্পাসে অপসারণ সভা করবে বলে জানা গেছে।