নিউজ ডেস্ক:
আফগান সরকারের মন্ত্রী ও শীর্ষ কর্মকর্তাদের টার্গেট করে আরো হামলা চালানোর হুমকি দিয়েছে সশস্ত্র গোষ্ঠি তালেবান। কাবুলে আফগান প্রতিরক্ষামন্ত্রীর বাড়িতে হামলার একদিন পর বুধবার তারা এ হুমকি দিয়েছে। খবর এনডিটিভির।
গত মঙ্গলবার রাতে কাবুলে আফগান সরকারের প্রতিরক্ষা মন্ত্রী বিসমিল্লাহ মুহাম্মদির বাড়িতে বন্দুক ও বোমা হামলা চালায় তালেবান। এটা ছিল গত কয়েক মাসের মধ্যে কাবুলে প্রথম তালেবান হামলা।
আফগানিস্তান থেকে মার্কিন সেনা পুরোপুরি সরিয়ে নেয়াকে কেন্দ্র করে দেশটির বিভিন্ন স্থানে যথেষ্ট সক্রিয় হয়ে উঠেছে তালেবানরা। প্রতিদিনই তারা নতুন নতুন এলাকা দখলে নিতে অগ্রসর হচ্ছে। চলতি সপ্তাহে বিবিসির এক প্রতিবেদনে দেখানো হয়, আফগানিস্তানের সিংহভাগ এলাকা এখন তালেবানের দখলে।
সম্প্রতি বিভাগীয় শহরগুলোর দখল নিতে সরকারি বাহিনীর সঙ্গে লড়াই চালিয়ে যাচ্ছে তালেবানরা। এরই মধ্যে কান্দাহার, হেরাত ও লস্কর গহ-তে তালেবানের সঙ্গে আফগান সরকারি বাহিনীর ব্যাপক লড়াই হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। এসব লড়াইয়ে বিপুল সংখ্যক বেসামরিক মানুষও হতাহত হচ্ছেন।
সপ্তাহের শুরতে তালেবান লক্ষ্যে বিমান হামলা চালায় যুক্তরাষ্ট্র ও আফগান নিরাপত্তা বাহিনী। তালেবানরা বলছে, মঙ্গলবার প্রতিরক্ষা মন্ত্রীর বাড়িতে যে হামলা হয়েছে, সেটা তারই প্রতিক্রিয়া।
প্রতিরক্ষা মন্ত্রীর বাড়িতে হামলা প্রসঙ্গে বুধবার তালেবান মুখপাত্র জাবিউল্লাহ মুজাহিদ বলেন, ‘দেশের বিভিন্ন অংশে বোমা ও হামলা চালানোর নির্দেশ দিচ্ছেন যারা সেই আফগান প্রশাসনকে জবাব দিতেই এ হামলা।’
তালেবান হামলা প্রসঙ্গে বার্তাসংস্থা এএফপি জানায়, কাবুলের কেন্দ্রে প্রথমে একটি বোমা বিস্ফোরিত হয়। এর ধোঁয়া উড়তে থাকে আকাশে। এর দুই ঘণ্টারও কম সময়ের মধ্যে উচ্চ নিরাপত্তায় থাকা গ্রীন জোনের কাছে আরো একটি জোরালো বিস্ফোরণ ঘটে।
এরপরই শুরু হয় গুলিবর্ষণ। ওই গ্রীন জোনে যুক্তরাষ্ট্র মিশন ছাড়াও বেশ কয়েকটি দূতাবাস রয়েছে। আফগানিস্তানের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র মিরওয়াই স্টানেকজাই জানান, মন্ত্রী নিরাপদে আছেন এবং নিরাপত্তা বাহিনী হামলাকারিদের জবাব দিয়েছে। এ ঘটনায় নিহত হন ৮ জন। আহত হয়েছেন অনেকে।