যদি আপনার মানসিক চাপ থাকে, তাহলে দৈনিক পাঁচ কিলোমিটার দৌড়ে আপনি পেতে পারেন সুফল। সাম্প্রতিক এক গবেষণায় এ ফল পেয়েছেন গবেষকেরা। যুক্তরাষ্ট্রের গবেষকেরা বলছেন, যাঁরা ক্রমাগত মানসিক চাপের মধ্যে থাকেন, তাঁদের নেতিবাচক প্রভাব থেকে মুক্তি দিতে পারে দৌড়ানোর অভ্যাস।
এর আগেও অনেক গবেষণায় নিয়মিত শারীরিক কসরতে শরীরের নানা রোগব্যাধি দূর হওয়ার প্রমাণ পাওয়া গেছে। ওই তালিকায় এবার নিয়মিত দৌড়ের সুফলের বিষয়টি যুক্ত হচ্ছে। প্রতিদিন গড়ে পাঁচ কিলোমিটারের মতো দৌড়াতে পারলে মানসিক চাপ দূর করার পাশাপাশি স্মৃতিশক্তি সুরক্ষিত রাখা যায়।
গবেষণাসংক্রান্ত নিবন্ধ ‘নিউরোবায়োলজি অব লার্নিং অ্যান্ড মেমোরি’ সাময়িকীতে প্রকাশিত হয়েছে। গবেষকেরা ইঁদুরের ওপর গবেষণা চালান।
এর আগের কয়েকটি গবেষণায় নিয়মিত ব্যায়ামের সঙ্গে মস্তিষ্কের ক্ষমতা বেড়ে যাওয়া ও মানসিকভাবে ভালো থাকার বিষয়ে সম্পর্ক পাওয়া গিয়েছিল। সাম্প্রতিক গবেষণায় দেখা গেছে, মস্তিষ্কের হিপোক্যাম্পাস নামের যে অংশটি শেখার ও স্মৃতির জন্য কাজ করে, সেখানে নেতিবাচক প্রভাব থেকে মুক্তি দিতে পারে দৈনিক দৌড়ের অভ্যাস।
গবেষকেদের ভাষ্য, যখন সাইন্যাপস বা নিউরনের মধ্যে সংযোগ জোরালো হলো, তখন হিপোক্যাম্পাসের ভেতর স্মৃতি তৈরি ও রোমন্থন ভালোভাবে সংগঠিত হয়। এ প্রক্রিয়াকে বলে ‘লং টার্ম পোটেনশিয়েসন’ বা এলটিপি। ক্রনিক বা ক্রমাগত মানসিক চাপে সাইন্যাপস দুর্বল হয়ে যায় এবং এলপিটি কমে স্মৃতির ওপর প্রভাব ফেলে। এর সহজ ও সাশ্রয়ী সমাধান হচ্ছে ব্যায়াম।
যুক্তরাষ্ট্রের ইউটাহ অঙ্গরাজ্যের ব্রিগহাম ইয়াং ইউনিভার্সিটির গবেষক জেফ এডওয়ার্ডস গবেষণা প্রবন্ধের মূল লেখক। তিনি বলেন, ‘আমাদের জীবনে সব সময় চাপ নিয়ন্ত্রণ করা যায় না। তবে আমরা কতটুকু ব্যায়াম করব, তা নিয়ন্ত্রণ করতে পারি। মস্তিষ্কে মানসিক চাপের কুপ্রভাব ঠেকাতে দৌড়াতে শুরু করুন।’