মহাপরিবার

মহাপরিবার

দুজনে বহুজন, ভিন্নজন ও মহাজন কিছুই তো দেখিনা ভাই
একই পিতামাতা, একই বিধাতা, ভিন্নতো কিছু নেই।
লোকে বলে ও হিন্দু, ও মুসলমান, ও আছে জাতে ভিন্ন,
ঠিক আছে তবে জন্মিল যবে কোনটা ছিল ওর বর্ণ।

ভুলে যাও ওই একটা রীতি , ভুলে যাও ওই গীত,
জাত পাত ভুলে একটা জাতির গাও মিলন গীত।
যদি মনে কর এতে করে জড়ো হবে বিধাতার ক্রোধ,
তবে মনে রেখ তিনিই সবারে দিয়াছেন স্বাধীন বোধ।
সেই বোধেরই অপব্যবহারে সৃজিলে নানান পথ,
আর মহামানবেরা শান্তির তরেই প্রচার করেছেন মত।
দেখ কৃষ্ণ , রামচন্দ্র, ধর্মরাজ যুধিষ্ঠির,
দেখ বুদ্ধ, ইসা, মুসা, লুত ও মহাবীর
সবার লক্ষ্য একটাই, মানুষ শান্তিতে রবে,
একই পরিবার ভিন্ন দলে শান্তি কি করে হবে?

যদি শান্তি ই হয় বুদ্ধের দাবী, তবে ঐক্যও তার ডাক,
তাই শ্রীকৃষ্ণের ওই মহারণ ঘোচাতে সকল ভাগ।
একই শরীরে বিভেদের গভীর ক্ষত রেখে, শান্তি খোজা যে বৃথা,
তাই কেতাবে দেখ ইসা মোহাম্মদ বলেন ঐক্যের কথা।

আজ তুই মুসলিম ,ঘৃণা করিস ও হিন্দু আছে বলে,
তুই ভাবিস না কেন রহমানের সৃষ্ট স্বজাতি তোরা ভিন্ন কি করে হলে।
তুই অসুচী ভাবিস বাকী সবারে , নিজেরে সনাতন
আদি আনন্ত সত্য যিনি তিনি তো দুজন নন?
তবে সনাতনী হয়ে সেই মানবেরে কি করে রাখিস দুরে
ওই মানুষেই সনাতন আত্মা, পরমাত্মা বসত করে।
ওরে বোকা আয় শাস্ত্র খুলে দেখ, খুলে দেখ পবিত্র গ্রন্থ,
মানবতাই বিধান, প্রেমই রীতি, ঐক্যেই হবে সব শান্ত।

এক মহা জাতি, এক পরিবার, এক পিতামাতাতে সব ভাই
আয় গলাগলি ধরে লুটায়ে পড়ি, নেই কোন সংকোট নেই।

ডা: মো: মাকসুদে মাওলা, ১৪-১-২০১৫

Comments (0)
Add Comment