পারুল আক্তার সাংবাদিকদের জানান, হোসেনের সঙ্গে তার দাম্পত্য জীবনে কোল জুড়ে আসে ছেলে তামিন আহমেদ (৭)। বর্তমানে সাত মাসের অন্তঃস্বত্তাও তিনি। ছুটি শেষে সাত মাস আগে আবার ডুবাই চলে যান হোসেন। সেখানে যাওয়ার কিছু দিন পরে কোন কারণ ছাড়াই মোবাইল ফোনে তাকে মৌখিক তালাক দেন হোসেন। লিখিতভাবে তালাকের কাগজপত্র না পাওয়ায় ছেলেকে নিয়ে স্বামীর বাড়িই থাকছেন তিনি। কিন্তু, হোসেনের পরামর্শে শাশুড়ি ও দেবরসহ বাড়ির লোকজন তাকে নানাভাবে মানসিক ও শারীরিক নির্যাতন করছিলেন। এমনকি বাবার বাড়ি তাড়িয়ে দেয়ার চেষ্টাও করছিলেন তারা। এ নিয়ে কয়েকবার ঘরোয়া সালিশও বসানো হয়। এরই মধ্যে মঙ্গলবার রাতে নিজ ঘরে ছেলেকে নিয়ে ঘুমিয়ে পড়েন তিনি। রাত দুইটার দিকে খোলা জানালা দিয়ে ঘুমন্ত অবস্থায় তার শরীরে অ্যাসিড নিক্ষেপ করা হয়। এ সময় তার আত্মচিৎকারে বাড়ির লোকজন ও প্রতিবেশিরা এগিয়ে আসেন এবং শরীরে ঠান্ডা পানি ঢালেন। কে বা কারা অ্যাসিড নিক্ষেপ করেছেন? তা বলতে পারেননি ওই গৃহবধূ। ‘তবে, তাকে তাড়াতে স্বামীর বাড়ির কেউ অ্যাসিড নিক্ষেপ করেছেন বলে সন্দেহ করছেন পারুল।’
ওই গৃহবধূর বাবা নুরু মিয়া জানান, পারুলকে সিংগাইর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। আর এ ঘটনায় মামলার প্রস্তুতি নেয়া হচ্ছে বলেও জানান তিনি।
মানিকগঞ্জ সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আমিনুর রহমান জানান, ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। ওই গৃহবধূকে চিকিৎসা সনদপত্র অনুযায়ী ও অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে আইনি ব্যবস্থা নেয়া হবে।